দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসারের ওপর তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ বর্তমানে পরিণত হয়েছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে যেটির নাম মায়ানমারের দেওয়া "মিগজাউম"।
শোনা যাচ্ছে বঙ্গোসাগরের ওপর থেকে তৈরি হওয়া ঝড়টি প্রবল আক্রণাত্মক গতিতে ধেয়ে আসছে তামিলনাড়ু, উড়িষ্যা এবং অন্ধ্র উপকূলের দিকে, যেটি প্রবল গতিতে মূলত আছড়ে পড়তে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপুকুলে যেটির গতি থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে শুরু হয়ে গেছে ভারী বৃষ্টিপাত, মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। অতি বৃষ্টির জেরে গাছের নিচে চাপা পড়ে এবং বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে বেশ কিছু মৃত্যুর খবর ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাণ্ডব দেখবে ঘূর্ণিঝড় "মিগজাউম"। প্রবল বৃষ্টির জেরে চেন্নাই এবং আশেপাশের কয়েক জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, প্রাইভেট অফিসগুলোতে শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম সিস্টেম। এছাড়া সমুদ্রে যেতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের, ভারী বর্ষণের কারণে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ন স্থগিত, বৃষ্টি বিপর্যয়ের জেরে ভেসে গিয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দরের রানওয়ে, বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান।
মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝামাঝি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ল্যান্ডফল করবে, ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে চেন্নাইতে,উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে, এছাড়া চেঙ্গলপাট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপট্টিনাম, কুড্ডালোর এলাকাগুলো বর্তমানে রয়েছে জলের তলায়।
মিগজাউম এর প্রভাব বাংলার ওপর সেভাবে না পড়লেও , মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ,ঝাড়গ্রাম ,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ,বাঁকুড়া ,হাওড়া ,হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ,নদীয়া এবং কলকাতায়। বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বইতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাহলে কি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে এসে মোটামুটি একটি বড়ো ধরনের তাণ্ডব দেখতে প্রস্তুত ঘূর্ণিঝড় "মিগজাউম"?
ছবি সৌজন্যে: গুগল।