রাত পেরিয়েই মহালয়া, সূচনা দেবীপক্ষের। কথায় আছে মহালয়ার ভোরেই দেবী দুর্গা বাহন সিংহে চেপে স্বর্গ মর্ত পাতাল অসূর মুক্ত করেন। শুরু করেন শুভ সৃষ্টির।
পিতৃপক্ষের অবসান আর মাতৃপক্ষের শুরু। এরপরই আসবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। পাঁচদিন ধরে চলবে দেবীর আরাধনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেজে উঠেছে প্যান্ডেল , রাস্তাঘাট। আলোর রোশনাই চোখে পড়ছে। রাস্তায় রাস্তায় দোকানে নেমেছে মানুষের ঢল। সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মেতে উঠবে উৎসবে।
প্রতিবছর এই নির্দিষ্ট পাঁচদিনের মা তাঁর চার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশকে নিয়ে মর্তে নিজের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। খুশিতে মেতে ওঠে সকলেই। ভক্তিভরে মেয়ে এবং মাতৃস্নেহে পূজা হয়। অষ্টমীর অঞ্জলী একটা আলাদা আকর্ষণের দিন। আট থেকে আশি সকলেই স্নান সেরে মাতৃ বন্দনায় অঞ্জলী দিতে জড়ো হয়।
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী মিলিয়ে পুজো। দশমীতে হয় মায়ের স্বামীর বাড়ি ফেরার পালা। চোখের জ্বলে বিদায় হয় মায়ের শুরু হয় আনার দিন গোনার পালা।
আগামী কাল থেকেই বাঙালি মাতবে উৎসবে। এরপর প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া করে দশমী পর্যন্ত চলবে আনন্দ উৎসব। প্যান্ডেল গুলিতে পড়বে মানুষের ঢল।
ছবি সৌজন্যে : গুগল