এদিন খোদ দিল্লির সংসদে আক্রমণ চালায় কিছু দুষ্কৃতী। প্রথমে তাঁদের নাম ও পরিচয় জানা না গেলেও ধীরে ধীরে সব তথ্য উঠে এসেছে দিল্লি পুলিশের হাতে। এদিন একদম সকালে ২০০২ সালে ঘটে যাওয়া পার্লামেন্টের উপর নরকীয় হামলার বছর পূর্তিতে একটি স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।সেখানেই সকালে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুও। আর তাঁদের চলে যাওয়ার পরই বসে আইন বিভাগীয় সভা এবং মন্ত্রী সভা।
আর সেই মন্ত্রী সভাতেই গ্যাসের ধোঁয়া আক্রমণ চালান কমপক্ষে দুজন দুষ্কৃতী। পুরো ঘটনা এমন হুট করে ঘটে যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় আধিকারিকদের সহায়তায় পরে ওই দুজন ব্যাক্তি ধরা পড়েন।
আর এর পর পরই মূল ষড়যন্ত্রকারী ললিত মোহন ঝাঁ নিজে থেকেই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। জানা যায় এই মূল ষড়যন্ত্রকারী ঘটনার পর তাঁর এবং সহ আক্রমণকারীদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেন এবং সেগুলো নিয়ে রাজস্থানের একটি স্থানে গা ঢাকা দেন। সেখানেই মোবাইল ফোন গুলি নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হয়। পরে আধপোড়া অবস্থায় মোবাইল গুলি উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
পরে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চঅফিস এর আধিকারিকদের কাছে ৭দিনের জেল হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়।
ছবি সংগৃহীত।