কথায় আছে রামচন্দ্র যখন বনবাস থেকে স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষণকে নিয়ে অযোধ্যায় ফেরেন তখন তাদের ফিরে আসা স্মরণীয় করে রাখার জন্য সকল অযোধ্যাবাসী রাজ্যের কোনায় কোনায় দ্বীপ জ্বেলে অন্ধকার তাড়িয়ে আলোর উৎসব করেন পাঁচ দিন ধরে। তাই এখন দীপাবলি নামে আমরা পালন করে থাকি।
প্রতিবার কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো করা হয়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তবে এবারের অমাবস্যা দুদিন ব্যাপী তাই দ্বন্দ্ব ছিলো কবে পুজো হবে। কিন্তু পঞ্জিকা মতে ১২ই নভেম্বরই উপযুক্ত দিন কালী আরাধনার।
যেহেতু অমাবস্যা শুরু হচ্ছে ১২ ই নভেম্বর ২০২৩ এর দুপুর ২টো ৪৪ মিনিট থেকে এবং থাকছে পরদিন দুপুর ২টো ৫৬ মিনিট পর্যন্ত তাই সকলেই পুজোর শুভক্ষণ কখন হবে ভেবে দ্বন্দ্বে পড়েছিলেন। যেহেতু কালী পুজো সাধারনত রাতেই হয় তাই রবিবার অর্থাৎ বারো তারিখই সঠিক দিন বলে ধরা হচ্ছে।
দেবী আরাধনায় আলোয় সেজে উঠেছে রাস্তা ঘাট, বাড়ি ঘর সব। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে আজ থেকেই মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। সবার জীবনের অন্ধকার শেষে মায়ের আশীর্বাদে আলো আসুক এটাই প্রার্থনা।
ছবি সৌজন্যে উইকিপিডিয়া