গত ৭ই অক্টোবর প্যালেস্তাইন জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস প্রথম ইজরাইলের উপর মারণ আক্রমণ করেন। হামলা পাল্টা হামলা, মৃত্যু মিছিল, নিখোঁজ আত্মীয় পরিজনদের খুঁজে পেতে হাহাকারের মাঝে দেখতে দেখতে কেটে গেছে চারটি দিন। ঘর বাড়ি আত্মীয় পরিজন হারানোর হাহাকারে বিদ্ধস্ত ইজরাইল।
তবে এদিন ইজরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা গাজা অঞ্চলের কিছু এলাকা দখলে সক্ষম হয়েছেন এবং নিকটবর্তী শহর গুলি থেকে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও কাজ চলছে জোর কদমে। প্রধানমন্ত্রীর তরফে পুরো দেশে যুদ্ধকালীন অবস্থার ঘোষণা করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ইজরাইল সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই আশার বার্তা দিয়েছেন।
এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার, যাতে ছোট শিশু, মহিলাও আছেন। গাজার প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে সেখানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০। বিশ্বের ইতিহাসে এরম মারণ হামলা কমই হয়েছে। খোদ ইজরাইলের গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে এরকম হামলা এই প্রথম। ইজরাইলের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে বেশ চিন্তিত সমস্ত দেশই। পৃথিবীতে বার বার শান্তির প্রচারের পরেও যখন শুধু ধর্ম বিশ্বাসের জেরে মানুষ হয়েও মানুষের ক্ষতি সাধন করা হয় নির্বিচারে হত্যা করা হয় তখন রাষ্ট্র পুঞ্জ সহ গোটা বিশ্বের অবাক হাওয়া ছাড়া কিছু করার থাকেনা।
এই অবস্থায় ইউনাইটেড স্টেটস সহ বিভিন্ন দেশ ইজরাইলের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জানা গিয়েছে হামাস্ প্রায় ১৫০ জন সাধারণ নাগরিককে বন্দি বানিয়ে রেখেছেন এবং এঁদের বন্দি করার সময় ওই স্থানে প্রায় ২৯০ জন মানুষের হত্যা করে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে যদি ইজরাইল গাজার সাধারণ নাগরিকদের উপর কোনো হামলা করে তবে প্রত্যেকবার ওই বন্দি করা ইজরাইলবাসীদের এক একজনের প্রাণ নেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। কবে শান্তি ফিরবে ইজরাইলে? নিশ্চিত নয় কেউই।
ছবি সৌজন্যে: দ্য গার্ডিয়ান