বাংলা ক্যালেন্ডারের পৌষ শেষে দিনটি মকর সংক্রান্তি হিসেবে ধরা হয়। পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে আলাদা আলাদা নামে দিনটি পালন হয়ে আসছে। বাংলার পালিত হওয়া এই দিনটির গ্রাম্য পরিবেশে এক বহুল প্রচলিত নিয়ম ছিল বাউনি বাঁধা। শহরে এর রীতি মুছে গেলেও গ্রামের দিকে এখনও বিদ্যমান।
এসময় নতুন ফসল গোলায় ওঠতো বলে একে নবান্ন উৎসব বলা হত। আর তার থেকেই এই বাউনি বাঁধার প্রচলন। এদিন গৃহ লক্ষ্মীকে তুষ্ট করার জন্য নতুন চালের গুঁড়ো, নতুন ধানের শীষ, আমের পল্লব, দূর্বা ঘাস ও বেলপাতা লাল সুতোয় বেঁধে বাড়ির সমস্ত ব্যবহারিত স্থানে রাখতে হয়। তুলসী গাছ, পূজার স্থান, উনান এবং আরও সব আনাচে কানাচে দেওয়া হয় এই বাউনি।
এছাড়াও নতুন চালের গুঁড়ো ছড়ানো হয় বাড়ি ময়। জানা যায় এতে গৃহ লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন এবং গৃহে বাস করার জন্য থেকে যান। কিছু কিছু স্থানে বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করা ও ঘুড়ির প্রতিযোগিতা করারও নিয়ম আছে। কোথাওবা নতুন ফসল ওঠার আনন্দে এই দিনে আঞ্চলিক নাচ গান গেয়ে উৎসব পালনের প্রচলনও আছে।
ছবি সংগৃহীত।