১৭ দিনের যমে-মানুষে টানাটানির শেষ। জানকবুল লড়াইয়ের পর অবশেষে আলোয় ফিরলেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাত ৮টার কিছু আগেই প্রথম শ্রমিককে বের করে আনা হয় উত্তরকাশীর অন্ধকূপ থেকে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন বাকিরা। প্রত্যেক শ্রমিক সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। উদ্ধারের পর মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারলেন তাঁরা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তাঁদের পরিজনেরাও।
এদিন উদ্ধারের পর শ্রমিকদের মালা দিয়ে বরণ করে নেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। বুকে জড়িয়ে ধরেন শ্রমিককে। গ্রাউড জিরো থেকে সেই ছবি ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।
১৭ দিন ধরে অন্ধকূপে আটকে থাকার পরও একফোঁটা মনোবল কমেনি শ্রমিকদের। তা প্রত্যেকের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই যেন অনুমান করা যাচ্ছিল। এই হার না মানা লড়াই এবং উদ্ধারকারীদের কঠোর পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। ধন্য ধন্য করছেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা।
প্রায় ৪২৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে থাকতে হয়েছে শ্রমিকদের। অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেলেন শ্রমিকরা। কেউ কেঁদে ফেলেন অঝোরে, কারও মুখে ছিল স্বস্তির হাসি। কারও চোখ খুঁজছিল পরিজনদের। বাড়ি ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় তাঁরা সকলেই।
উত্তরাখণ্ডের সিল্কইয়ারাতেও এখন যেন অকাল দীপাবলি পালিত হচ্ছে। বাজি ফাটিয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে উৎসব পালন করছেন এলাকাবাসীরা। গত ১৭ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যে উদ্ধারকারী দল এই শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনল, তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ।