কালীঘাটে যে পুরনো দমকল কেন্দ্রটি ছিল, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানেই নতুন দমকল কেন্দ্রটি তৈরি হবে মন্দিরের আদলে।
কালীঘাট মন্দিরের আদলে তৈরি হবে কালীঘাট এলাকার দমকল কেন্দ্র। ২০২১ সালের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই এই বিষয়ে পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। কালীঘাটে যে পুরনো দমকল কেন্দ্রটি ছিল, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানেই নতুন দমকল কেন্দ্রটি তৈরি হবে মন্দিরের আদলে।
বর্তমানে কালীঘাটে হরিশ মুখার্জি রোড মোড়ের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তা কেপি রোডের মুখেই একটি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রটির মূল অফিসটি বহু দিনের পুরনো। যার আমূল সংস্কার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। এ ছাড়াও অপরিসর জায়গার কারণে পরিষেবা সংক্রান্ত কাজে সমস্যা হচ্ছিল বহু দিন ধরেই। অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবার জন্য মাত্র দু’টি দমকলের গাড়ি রাখা যেত। তাই কালীঘাট এলাকায় আরও একটি নতুন দমকল কেন্দ্র করা যায় কি না, সে জন্যও দমকল দফতর জমির খোঁজ করেছিল। কিন্তু তা না মেলায় পুরনো কেন্দ্রটিকেই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের নতুন নকশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখানো হয়েছে। তাঁর সম্মতি মিলতেই কাজে গতি এনেছে দমকল দফতর। ইতিমধ্যে সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি হয়ে গিয়েছে। দমকল দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জায়গার অভাবের কারণে নতুন দমকল কেন্দ্রটিতেও দু’টির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না। তবে সেটিকে আধুনিক মানের করে গড়ে তোলা হবে। পাঁচতলা ভবন তৈরি হবে। থাকবে ব্যারাক বা দমকলকর্মীদের জন্য কোয়ার্টার্স। ফলে দমকলকর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা হবে। কালীঘাট ‘মুখ্যমন্ত্রীর এলাকা’ হিসেবে পরিচিত হলেও, বিধানসভা কেন্দ্র হিসাবে তা রাসবিহারীর অন্তর্গত। উল্লেখ্য, কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে। রিলায়্যান্স গোষ্ঠী সেই কাজের দায়িত্বে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নবরূপে সজ্জিত মন্দিরটি তুলে দেওয়া হবে মন্দির কমিটির হাতে।