একটাও ম্যাচ না জিতে এএফসি এশিয়ান কাপ থেকে বিদায় নিল ভারত। অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তানের পর গ্রুপের শেষ ম্যাচে সিরিয়ার কাছেও হেরে গেলেন সুনীলেরা।
এএফসি এশিয়া কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা হল না সুনীল ছেত্রীদের। গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে সিরিয়ার কাছেও হেরে গেল ভারত। গ্রুপের শেষ ম্যাচে সুনীলেরা হারলেন ০-১ ব্যবধানে। এ দিনের হারের ফলে তিন ম্যাচে ভারতের প্রাপ্তি শূন্য পয়েন্ট। ৭৬ মিনিটে সিরিয়ার পক্ষে এক মাত্র গোলটি করেন ওমর খরিবিন।
প্রতিযোগিতার পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে সিরিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হত ভারতকে। তাই প্রথম দু’ম্যাচের মতো দলকে এ দিন রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলাননি কোচ ইগর স্তিমাচ। তাঁর পরিকল্পনা ছিল ঘর সামলে আক্রমণে যাওয়া। প্রতিআক্রমণ মূলক ফুটবলের কৌশল নিয়ে দল নামিয়ে ছিলেন। কিন্তু সিরিয়ার বিরুদ্ধেও তাঁর পরিকল্পনা কাজে এল না। কাজে এল না সুনীলদের কোনও প্রচেষ্টা।
প্রথমার্ধে সিরিয়ার সঙ্গে সমানে সমানে লড়াইকরে ভারতীয় দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কৌশল বদলে মাঝ মাঠের দখল ধীরে ধীরে নিয়ে নেন সিরিয়ার ফুটবলারেরা। তাতেই কিছুটা ছন্নছাড়া হয়ে গেল ভারতীয় দল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ৭৬ মিনিটে গোল করেন ওমর। সুনীলরা গোল করার সুযোগ পাননি, তা নয়। একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন তাঁরা। গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করে সিরিয়াও।
গোলের জন্য বেশি মরিয়া দেখিয়েছে সিরিয়াকে। জিততেই হবে— এ রকম ম্যাচে যেমন ফুটবল খেলা উচিত, সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করেছে সিরিয়া। বরং স্তিমাচের কৌশল দেখে মনে হয়নি, ভারতকে জিততেই হবে। প্রতিপক্ষের অর্ধে আক্রমণে ওঠার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রক্ষণ থেকে দ্রুত উঠতে পারেননি ভারতীয় ফুটবলারেরা। সিরিয়ার ফুটবলারদের গতি এবং শরীরিক সক্ষমতার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি ভারতীয় দল। পরিকল্পনার অভাবও ফুটে উঠেছে ভারতীয় দলের খেলায়। এ দিন রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে হলুদ কার্ডও দেখলেন কোচ স্তিমাচ।