তরুণ বয়স থেকেই দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সুভাষচন্দ্র বসু। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে প্রথমে যোগ দেন কংগ্রেসে। দীর্ঘ ২০ বছর কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু। প্রথম সক্ষাতেই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য উঠে আসে, তবুও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের দেখানো পথে হেঁটে যোগ দেন জাতীয় রাজনীতিতে। একটা সময় কংগ্রেসের সভাপতিও হন। যদিও পরে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস ছাড়েন সুভাষচন্দ্র। গড়ে তোলেন ফরওয়ার্ড ব্লক।
আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ গ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর বাবা ছিলেন জানকীনাথ বসু এবং প্রভাবতীদেবী। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন তার পিতা-মাতার চৌদ্দ সন্তানের নবম সন্তান তথা ষষ্ঠ পুত্র। বাড়িতে, সুভাষচন্দ্রের বাবা ও মা হিন্দু দেবী দুর্গা ও কালীর উপাসনা করতেন। একইসঙ্গে মহাভারত ও রামায়ণের মতো মহাকাব্য থেকে গল্পও শোনাতেন ছোট্ট সুভাষকে। ছোটবেলা থেকে খেলাধূলা ও উদ্যানচর্চার বিষয়েও উৎসাহ দেওয়া হত সুভাষচন্দ্রকে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ তাঁকে ছোট থেকেই অনুপ্রাণিত করে।
তরুণ বয়স থেকেই দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সুভাষচন্দ্র বসু। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে প্রথমে যোগ দেন কংগ্রেসে। দীর্ঘ ২০ বছর কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু। প্রথম সক্ষাতেই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য উঠে আসে, তবুও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের দেখানো পথে হেঁটে যোগ দেন জাতীয় রাজনীতিতে। একটা সময় কংগ্রেসের সভাপতিও হন। যদিও পরে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস ছাড়েন সুভাষচন্দ্র। গড়ে তোলেন ফরওয়ার্ড ব্লক।
নেতাজির বিখ্যাত উক্তি
দেশকে স্বাধীন করার জন্য দীর্ঘদিন দেশের বাইরে কাটিয়েছেন নেতাজি। ঘুরেছেন জার্মানি-জাপানের মতো দেশে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ে তোলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এছাড়াও আজাদ হিন্দ ফৌজে একটি পৃথক মহিলা ইউনিটও ছিল। যার নাম দেওয়া হয় ঝাঁসি রানী রেজিমেন্ট। ১৯৪৪ সালের ৪ জুলাই, বার্মায় ভারতীয়দের এক সমাবেশে আজাদ হিন্দ ফৌজের উদ্দেশে একটি ভাষণ প্রদানের সময় নিজের সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি শোনা যায় তাঁর মুখে। নেতাজি বলেন, "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো"।
এবছর দেশে উদযাপিত হচ্ছে নেতাজির ১২৬তম জন্মদিন। দেশকে আজীবন স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখে গিয়েছেন নেতাজি। ব্রিটিশের শাসনমুক্ত ভারত ছিল যাঁর একমাত্র ধ্যান জ্ঞান চিন্তা। তাঁর আদর্শ আজও দেশের তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করে।