পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী না থাকায় বাতিল করে দেওয়া হল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। যার ফলে মাঝরাতে বিমানবন্দরে চরম হেনস্থার শিকার হলেন যাত্রীরা। অভিযোগ, অন্য কোনও বিকল্প বিমানের ব্যবস্থাও করা হয়নি তাঁদের জন্য।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে দিল্লি থেকে পুণের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৮৫১ বিমানটির। কিন্তু অভিযোগ, রাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে আচমকা বিমান বাতিলের ঘোষণা করে দেওয়া হয়। যাঁরা পুণে যেতে চেয়েছিলেন, কী ভাবে তাঁরা সেখানে পৌঁছবেন, তা-ও বলে দেওয়া হয়নি। ছিল না কোনও বিকল্প ব্যবস্থা। এমনকি, বিমান সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুণের আর কোনও বিমান তাঁদের কাছে নেই। অনেক যাত্রীকে ওই রাতে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে হোটেলের বন্দোবস্ত করতে হয়।
জনৈক যাত্রী ময়ঙ্ক সোনি তাঁর স্ত্রী এবং তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে দিল্লি থেকে পুণে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রাত ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ যাত্রীরা কয়েক জন গিয়ে বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে জানতে চান, কখন তাঁদের বিমানে তোলা হবে। উত্তরে জানা যায়, শীঘ্রই বিমানের দিকে এগোতে বলা হবে যাত্রীদের। এর পরে আরও আধঘণ্টা কেটে যায়। পেরিয়ে যায় বিমান রওনা দেওয়ার নির্ধারিত সময়। যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তাঁদের জানানো হয়, বিমানে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। সেই কারণে ছাড়তে দেরি হচ্ছে। ১০টা ৪৫ মিনিটে জানানো হয়, এক জন কর্মী এখনও এসে পৌঁছননি বিমানে। ডিজিসিএ-র নিয়ম অনুযায়ী, বিমানে কমপক্ষে চার জন কর্মী থাকা আবশ্যক। আরও কিছু ক্ষণ পর আচমকা ঘোষণা করে দেওয়া হয়, বিমান বাতিল করা হয়েছে।’’
দিল্লিতে কুয়াশার কারণে অনেক বিমান সময়ে পৌঁছতে পারছে না সেখানে। সেই কারণে এয়ার ইন্ডিয়ায় কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। কর্মীরা সকলে বিভিন্ন বিমানে আটকে পড়েছেন।
আচমকা বিমান বাতিলের ঘোষণা শুনে আকাশ থেকে পড়েন যাত্রীরা। কেউ কেউ কেঁদে ফেলেন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই। তাঁদের বিমানভাড়া ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। অথবা, কেউ চাইলে পরবর্তী বিমানের জন্য অপেক্ষাও করতে পারতেন। তবে পুণে যাওয়ার পরবর্তী বিমান ১ তারিখের আগে পাওয়া যাবে না। বেশিরভাগ যাত্রীই কোনও রকমে রাত কাটিয়ে পরের দিন অন্য সংস্থার বিমান ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।