তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে পাকিস্তানের আদালতে।
ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর হাত থেকে বেহাত হয়েছে দেশের গোপন তথ্য সমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ‘তার’ বা চিঠি। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলারই শুনানি ছিল পাকিস্তানের স্পেশ্যাল কোর্টে। সেখানেই ইমরান এবং তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সহ সভাপতি শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
তোষাখানা মামলায় আগেই ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান পুলিশ । তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে পাকিস্তানের আদালতে। এর মধ্যেই একটি ছিল এই মামলাটি। যদিও ইমরান প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, চিঠি সংক্রান্ত পুরো বিষয়টিই একটি ষড়যন্ত্র। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্যই ওই ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান। তার পরে ২০২৩ সালের ৫ অগস্ট তাঁকে কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদ কোর্ট। তোষাখানা মামলায় তিন বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছিল ইমরানকে। অ্যাটাক ডিসট্রিক্ট জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এর পরে গত বছর ডিসেম্বরেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান এবং কুরেশিকে জামিন দিয়েছিল। তবে জামিন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্য মামলাগুলির জন্য জেলেই ছিলেন ইমরান।