দু’দিন ধরে আলোচনায় জম্মু-কাশ্মীরে দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে দ্রুত রাজ্যের মর্যদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন অধিকাংশ বিরোধী সাংসদ। শাহ জানিয়ে দেন, উপযুক্ত সময়ে সেখানে নির্বাচন হবে।
অতীতেও যখনই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তখনই তাঁকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। আজও ব্যতিক্রম হল না সেই কৌশলের। আজ লোকসভায় জম্মু-কাশ্মীর সংশোধিত পুনর্গঠন বিল ও জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনাতেও ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাশ্মীর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল সরকার পক্ষ। বিল নিয়ে আলোচনায় কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নেহরুর দু’টি ভুলকেই দায়ী করে আজ সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দু’দিন ধরে আলোচনায় জম্মু-কাশ্মীরে দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে দ্রুত রাজ্যের মর্যদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন অধিকাংশ বিরোধী সাংসদ। শাহ জানিয়ে দেন, উপযুক্ত সময়ে সেখানে নির্বাচন হবে। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরেই উপত্যকায় পরিকাঠামোগত উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। তৈরি হয়েছে আইআইটি, আইআইএম, এমসের মতো প্রতিষ্ঠান।
শাহ হেসে বলেন, ‘‘দু’টি বিপর্যয়ের কথা বলাতেই কংগ্রেস সাংসদেরা ওয়াক আউট করেছেন। হিমালয়ান ব্লান্ডার নিয়ে মুখ খুললে ওঁরা তো সাংসদ পদ থেকেই ইস্তফা দিতেন।’’ কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি পরে বলেন, ‘‘নেহরুর যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথা থেকে পেয়েছেন জানি না। কিন্তু ইতিহাস বলে, নেহরু যা করেছিলেন তা সেনার পরামর্শ মেনে করেছিলেন।’’
বিলে যাযাবর গোষ্ঠী থেকে দু’জন (যাঁদের এক জন মহিলা) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন এমন এক জন—মোট তিন জন ব্যক্তিকে মনোনীত করবেন উপরাজ্যপাল। আর জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মহিলা বিশেষ করে তফসিলি জাতি ও জনজাতির সমাজের নারীদের শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ দু’টি বিলই আজ পাশ হয়ে যায়।