হিন্দি দিবস প্ৰতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে ভারতের হিন্দি ভাষাভাষী অঞ্চলে পালন করা হয়। সাধারণত এই দিবসটি ভারতের কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাৰ্যালয়, ফাৰ্ম, বিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্ৰতিষ্ঠানে উদ্যাপন করা হয়। হিন্দি ভাষাকে প্রচার এবং চর্চা করা এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ভোজ-আয়োজন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে এই দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। হিন্দি ভাষাভাষী লোকদের কাছে তাদের শিখর সন্ধান এবং ঐক্যের বাণী প্রচারের মাধ্যমে এটি তাদের দেশপ্রেমের স্মারকও হয়ে উঠে।
২০০৭ (এবং ২০১০) সালের ন্যাশনাল এনসাইক্লোপেডিনের মতে হিন্দি বিশ্বের প্রায় ২৯৫(এবং ৩১০) মিলিয়ন লোকের মাতৃভাষা এবং বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত ভাষাসমূহের মধ্যে চতুৰ্থ। ১৯৪৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের সংবিধান প্ৰস্তাবনা পরিষদে দেবনাগরী লিপিতে লিখা হিন্দিকে ভারতের সরকারি ভাষারূপে স্বীকৃতি দেয় বলে হিন্দি দিবস এই দিনে পালন করা হয়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে হিন্দি ভারত সরকারের অন্যতম সরকারি ভাষারূপে স্বীকৃতি লাভ করে।
ভারতের সংবিধানের ৩৪৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেবনাগরী লিপিতে লিখা হিন্দি ভারতের সরকারি ভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। উল্লেখযোগ্য যে বৰ্তমানে ভারতে ২২টি সংবিধান স্বীকৃত ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে হিন্দি এবং ইংরেজি ভারতের সরকারি ভাষা।
বাকী ভাষাসমূহ আঞ্চলিক সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহার হয়। বিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ছাড়াও, এই দিবসের কিছু উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হল:
হিন্দি দিবসে নতুন দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রণব মুখার্জি হিন্দির সাথে সম্পৰ্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতার জন্য পুরস্কার প্রদান করেন।
বিভাগীয় মন্ত্ৰী, বিভাগ, সরকারি প্ৰতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে রাজভাষা পুরস্কার প্ৰদান করা হয়।
ভারতের গৃহ মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ প্ৰতি বছরে প্ৰদান করা পুরস্কার দুটার নাম পরিবর্তন করে দেয়। ১৯৮৬ সালে প্রচলন করা 'ইন্দিরা গান্ধী রাজভাষা পুরস্কার' থেকে 'রাজভাষা কীর্তি পুরস্কার' এবং 'রাজীব গান্ধী রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান মৌলিক পুস্তক লেখন পুরস্কার' থেকে 'রাজভাষা গৌরব পুরস্কার' নামে পরিবর্তন করা হয়।