পুণের ফার্গুসন কলেজের কৃতী ছাত্রী শীতল বিয়ে করেছেন তাঁরই সঙ্গী স্কাই ডাইভারকে। তাঁদের যমজ সন্তান। সংসারের সমস্ত ভার সামলেও শীতলকে বিশ্বরেকর্ড করা থেকে আটকানো যায়নি।
আকাশ তাঁর বিচরণক্ষেত্র। সেই আকাশেই হেলায় ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড, আর তৈরি করেছেন নতুন নতুন। সম্প্রতি সকলের চোখ কপালে তুলে দিয়েছেন হালফিলের কীর্তি দিয়ে। তিনি ভারতীয় স্কাইডাইভার শীতল মহাজন। এক্সট্রিম স্পোর্টস বিভাগে পুণের শীতল এখন কার্যত কিংবদন্তি।
স্কাই ডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে অলিম্পিক্স হল তিনটি ঝাঁপ। প্রথমটি উত্তর মেরু, দ্বিতীয় দক্ষিণ মেরু এবং সর্বশেষ তথা সবচেয়ে কঠিন, এভারেস্ট। শীতলের প্রথম দু’টি হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল শুধু ঘরের পাশের এভারেস্ট জয়। দীপাবলির সময় তা-ও করে ফেললেন শীতল।
এই অনন্য কীর্তিস্থাপনের পর নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় শীতল লিখেছেন, ‘‘আমি মাউন্ট এভারেস্টকে সাক্ষী রেখে ২১,৫০০ ফুট থেকে নিজের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ঝাঁপ দিয়েছি এবং কালাপত্থরের উচ্চতম অংশ ১৭,৪৪৪ ফুট উচ্চতায় অবতরণ করি। আমি সবচেয়ে উঁচু থেকে স্কাই ডাইভ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম মহিলা হলাম।’’
এর আগে, এ বছরেরই ১১ নভেম্বর শীতল পাঁচ হাজার ফুট এজিএল (ভূমি থেকে উচ্চতা) থেকে সাড়ে সতেরো হাজার ফুট উচ্চতায় স্কাইডাইভ করেছেন। শীতলকে এ ব্যাপারে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের বিখ্যাত স্কাইডাইভার ওয়েন্ডি স্মিথ।
শুধু কি তাই, শীতল যে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন, সেই ইতিহাস নাছোড় লড়াইয়ের, হাল না ছেড়ে লক্ষ্যের দিকে একাগ্রচিত্তে এগিয়ে যাওয়ার। সেই ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে শীতলের চাঁদে দাঁত চাপা লড়াইয়ের কথাও। পদ্মশ্রী সেই নাছোড় লড়াইয়েরই স্বীকৃতি।