রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ বিদেশের বিশেষ অতিথিরাও এই প্যারেড কর্মসূচিতে অংশ নেন। এখানে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড সম্পর্কে কিছু তথ্য রয়েছে যা অবশ্যই আপনার জানা উচিত।
২৬ জানুয়ারি, শুক্রবার, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবার ভারত। ১৯৫০ সালের এই একই দিনে, ভারতের সংবিধান গণপরিষদ গৃহীত হয়েছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হল প্যারেড। বিশেষ করে নয়াদিল্লির কর্তব্য পথে কুচকাওয়াজের জন্য। এই প্যারেড কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিদেশ থেকে আসেন বিশেষ অতিথিরাও। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড সম্পর্কিত ১১ আকর্ষণীয় তথ্য, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড সম্পর্কিত আকর্ষণীয় তথ্য
১. ভারতের সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়। এটি তৈরি করতে ২ বছর, ১১ মাস এবং ১৮ দিন সময় লেগেছে।
২.এই বছরের নারী-কেন্দ্রিক কুচকাওয়াজের মূল থিম হবে 'ভিক্ষিত ভারত' এবং 'লোকতন্ত্র কি মাতৃকা'।
৩. প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে, ২৬ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী , রাষ্ট্রপতি সহ যে কোনও একটি দেশের শাসককে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
৪. প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি এক বছর আগে থেকে জুলাই মাসে শুরু হয়। প্যারেড অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে শেখানো হয়। কুচকাওয়াজের দিন তাঁরা ভোর ৩টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছোন। পরপর বেশ কিছু কসরত করে কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন সবাই।
৫. প্যারেড চলাকালীন বন্দুকের স্যালুট দেওয়া হয়। স্যালুটের সময় জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীতের শুরুতে প্রথম গুলি চালানো হয় এবং পরবর্তী ৫২ সেকেন্ড পরে গুলি করা হয়।
৬.কুচকাওয়াজে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের একটি পদযাত্রা, সামরিক বিমানের ফ্লাইপাস্ট সহ অনেক কর্মসূচি রয়েছে।
৭.রাষ্ট্রপতির আগমনের মধ্য দিয়ে ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমত, রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী জাতীয় পতাকাকে স্যালুট করেন এবং এই সময় জাতীয় সঙ্গীত চলে। ২১ বন্দুকের স্যালুটও দেওয়া হয়।
৮.প্যারেড চলাকালীন, ভারতের সামরিক শক্তি প্রদর্শনকারী সমস্ত ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং আধুনিক সরঞ্জামগুলির জন্য ইন্ডিয়া গেট প্রাঙ্গণের কাছে একটি বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
৯. কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সামরিক কর্মীকে তদন্তের ৪টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এ ছাড়া তাদের অস্ত্রগুলো ভালোভাবে পরীক্ষাও করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে।
১০. প্যারেডের ফ্লোটগুলি প্রায় ৫ কিমি/ঘন্টা বেগে চলে, যাতে দর্শকের তা দেখতে অসুবিধা না হয়। এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বারোটি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং নয়টি মন্ত্রক ও বিভাগকে নিজেদের সারণী প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অরুণাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, মেঘালয়, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড।
১১. সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেশীয় ইনসাস রাইফেল নিয়ে প্যারেড মার্চে অংশ নেন। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা ইসরায়েলি ট্যাভোর রাইফেল নিয়ে মার্চ করেন৷