সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার পরে গত তিন সপ্তাহে উপত্যকার একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
লোকসভা ভোটের সঙ্গেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজও। এই আবহে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই জল্পনা উস্কে উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা, গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি)-র প্রধান তপন ডেকার পাশাপাশি ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রধান, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ডিরেক্টর, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সেখানকার মুখ্যসচিব অটল দুল্লু, এবং পুলিশের ডিজি আরআর সোয়াঁই এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার পরে গত তিন সপ্তাহে উপত্যকার একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার সীমানায় সেনার গাড়িতে হামলায় পাঁচ জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় কোনও জঙ্গিকে মারতে না-পারলেও তিন নিরীহ গ্রামবাসীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে সেনার বিরুদ্ধে। নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) পাক ড্রোনের উপস্থিতিও নজরে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে বিধানসভা ভোট আয়োজনের পরিস্থিতি আছে কি না, সে বিষয়ে শাহের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্বে থাকা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রশাসিত ও অঞ্চলের বিধানসভা আসনসংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। সাতটি আসনের মধ্যে ছ’টি বেড়েছে জম্মুতে (৩৭ থেকে ৪৩) এবং একটি কাশ্মীরে (৪৬ থেকে ৪৭)। কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরে যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে তার প্রত্যেকটিতে এখন থেকে ১৮টি করে বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে।