ইস্টবেঙ্গল তাঁবুর মূল ফটকের বাইরে জনা কয়েক পুলিশ ছিলেন বটে। কিন্তু মাঠে কাউকে দেখা যায়নি। ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের ন্যূনতম সমন্বয় দেখা যায়নি সোমবার।
আনন্দ ছিল। উদ্যাপনের আয়োজনও ছিল। কিন্তু এত আনন্দ, আয়োজন সবই বৃথা গেল। চরম বিশৃঙ্খলায় চার মিনিটের মধ্যেই শেষ করে দিতে হল লাল-হলুদের সুপার কাপ জয়ের উৎসব। ১২ বছর বাদে সর্বভারতীয় ট্রফি জেতার আনন্দে পিলপিল করে মাঠে ঠুকে পড়লেন সমর্থকেরা। মাঠেই তৈরি হয়ে গেল গ্যালারি। যার ফলে সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মাঠের উৎসব কার্যত মাঠে মারা গেল। যাকে কেউ বলছেন, অব্যবস্থা। কেউ আবার ধামাচাপা দেওয়ার সুরে বলছেন, এই রকম হতেই পারে।
সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল মাঠে পা রাখেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার চার মিনিট আগে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার (নিতু) সুপার কাপ ট্রফিটি নিয়ে গিয়ে রাখেন সাজানো চারটি টেবিলের মাঝখানে। কোচের পিছু পিছুই মাঠে ঢোকেন ক্লেটন সিলভা, সৌভিক চক্রবর্তী, সাউল ক্রেসপোরা। ব্যস! অমনি দেখা যায় র্যাম্পার্টের দিকের কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে দিয়ে কিছু ইস্টেবঙ্গল সমর্থক মাঠে ঢুকছেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা যেন গ্যালারিতে সংক্রামিত হয়ে যায়। কেউ ফেন্সিং টপকান, তো কেউ উচ্ছ্বাসের ঠেলায় গ্রিলে লাগানো পলকা তালা ভেঙে দেন। বাঁধ ভেঙে যায়। কুয়াদ্রাতদের ঘিরে ফেলেন কয়েক হাজার ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। সেই ঘেরাওয়ে কোনও আক্রোশ ছিল না। ভালবাসা ছিল। আদর ছিল। কিন্তু সেই ভালবাসার অত্যাচারের ঠেলায় কোনও রকমে কুয়াদ্রাত ট্রফি তুললেন। সঙ্গত করলেন দেবব্রত। তার পর ক্লেটন আর কোচ মিলে কেক কাটা শেষ করতেই তাঁদের ঘেরাও-মুক্ত করতে উদ্যোগী হতে হল কর্তাদের। কোনও রকমে ইস্টেবেঙ্গল টিমকে তাঁবুবন্দি করলেন কর্তারা।