তামিলনাড়ুর নীলগিরি যখন অস্বাভাবিক ঠান্ডায় কাঁপছে, অন্য দিকে, তুষারের জন্য হাহাকার করছে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ, উত্তরাখণ্ডের আউলির মতো পর্যটনস্থলগুলি।
তুষারশূন্য জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ, উত্তরাখণ্ডের আউলি। প্রকৃতির এই আজব ‘আচরণে’ যখন আবহবিদেরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন, তখন দেশের দক্ষিণ প্রান্তে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার আরও এক দৃশ্য ধরা পড়ল।
তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলায় যেখানে শীতের মরসুমে তাপমাত্রা ৫-৬ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাঘুরি করে, এ বার সেখানে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা এক ডিগ্রিতে, কোথাও আবার পৌঁছেছে শূন্যের কাছাকাছি। তাপমাত্রার এমন হেরফেরে বিস্মিত হচ্ছেন আবহবিদেরা। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঠান্ডা আগে কখনও পড়েনি।
রাজ্যের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কান্থাল, থালাইকুণ্ঠা এবং উধাগামন্ডলমে (উটি) তাপমাত্রা নেমে এক ডিগ্রিতে ঠেকেছে। আবার বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় তাপমাত্রা দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্যান্ডিনাল্লাতে তিন ডিগ্রি। তবে আবহবিদেরা আশ্চর্য হচ্ছেন, নীলগিরির আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল উধাগামন্ডলম বা উটির তাপমাত্রা দেখে। এখানে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমে শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে। প্রকৃতির এমন ‘অপ্রাকৃত’ আচরণে পরিবেশবিদ এবং স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, নীলগিরিতে আগে শূন্যে পৌঁছয়নি তাপমাত্রা।
পরিবেশবিদ ভি শিবাদাস জানিয়েছেন, উষ্ণায়ন এবং এল নিনোর প্রভাবেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শীতের মরসুমেও বৃষ্টিতে ভেসেছে তামিলনাড়ুর একাধিক জেলা। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি এক দিনে সারা বছরের বৃষ্টি হয়েছে এই রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে। ডিসেম্বর মাসে বৃষ্টিতে নাজেহাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই রেশ কাটিয়ে ওঠেনি এখনও। তার মধ্যে আবার প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় রাজ্যের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদেরা।
তামিলনাড়ুর নীলগিরি যখন অস্বাভাবিক ঠান্ডায় কাঁপছে, অন্য দিকে, তুষারের জন্য হাহাকার করছে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ, উত্তরাখণ্ডের আউলির মতো পর্যটনস্থলগুলি। কারণ শীতের মরসুমে এ সব জায়গা বরফে ঢাকা থাকে। আর তার টানেই ছুটে যান পর্যটকরা। এ বার সেই দৃশ্য একেবারে উধাও।