সময় যত এগোচ্ছে ততই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ঘূর্ণিঝড় মিগজ়াউম (Cyclone Michaung)। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে এই সাইক্লোন (Cyclone)। সোমবার দুপুরের মধ্যেই তামিলনাড়ু (Tamilnadu) এবং অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) আছড়ে পড়ার কথা ছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের। রবিবার থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণের এই শহরে। বৃষ্টি বিপর্যয়ের জেরে কার্যত স্তব্ধ চেন্নাই (Chennai)।
সকালেই চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্টাল রোডের কানাথুর এলাকায় একটি নবনির্মিত দেওয়াল ধসে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১ জন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ একাধিক জায়গায় একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি বিপর্যয়ের জেরে ভেসে গিয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দরের রানওয়ে।
বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান। এর পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ২০টি বিমানের উড়ানের সময়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিমান সংস্থার তরফে যাত্রীদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে বিমানের পিছিয়ে যাওয়া সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক বিমানও অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। সে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের যেন সংস্থা 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করতে অনুমতি দেয় এই দু'দিন। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে রয়েছে ২১টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে তারা। এছাড়াও আটটি অতিরিক্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দল রাখা হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝামাঝি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ল্যান্ডফল করবে আজ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে তামিলনাড়ু সরকার পুদুচেরি, কারাইকাল এবং ইয়ানাম অঞ্চলের স্কুল, কজেলগুলোতে ৪ ডিসেম্বর ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া তামিলনাড়ুতে ৩-৬ ডিসেম্বর আন্তঃরাজ্য দূরপাল্লার ট্রেন সহ মোট ১১৮টি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ রেলওয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।