পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদে দেবদেবীর মূর্তি আছে দাবি করে পুজোর অনুমতি চেয়েছিলেন ২০২১ সালে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বারাণসী আদালত এএসআই সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল।
জ্ঞানবাপী মসজিদে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট হিন্দু এবং মুসলিম পক্ষকে দেওয়া হবে বলে জানাল বারাণসী জেলা আদালত। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার জন্য হিন্দু পক্ষের আবেদন সংক্রান্ত মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করেন জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস।
গত ১৮ ডিসেম্বর বারাণসী জেলা আদালতে মুখবন্ধ খামে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছিল এএসআই। তার পরেই হিন্দুত্ববাদী পক্ষের তরফে সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। শুনানি পর্বের শেষে গত ৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন জেলা বিচারক। বুধবার রায় ঘোষণার পরে খুশি প্রকাশ করেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন।
২০২৩ সালের ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বেস হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘সিল’ করা এলাকার (ওজুখানা এবং ভূগর্ভস্থ জলাধারের তথাকথিত শিবলিঙ্গ) বাইরে এএসআই-কে সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের (জ্ঞানবাপী চত্বরে পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা) উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ওই সময়সীমার মধ্যে এ বিষয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।