সিআরপিএফের ‘কোবরা’ কমান্ডো বাহিনীর সদস্যেরা ছাড়াও শিবিরে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ এবং ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর সদস্যেরা ছিলেন আক্রান্ত দলটিতে।
ছত্তীসগঢ়ে আবার মাওবাদী হামলায় রক্ত ঝরল নিরাপত্তা বাহিনীর। মঙ্গলবার বিকেলে বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলার তেকালগুডুম গ্রামের সিআরপিএফ শিবিরের অদূরে নিষিদ্ধ সিপিআইএমএল(মাওবাদী) গেরিলা বাহিনীর হামলায় অন্তত তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ১৪ জন। আহতদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। তাই নিহতদের তালিকা দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুকমা জেলার সীমানা লাগোয়া মাওবাদী উপদ্রুত ওই এলাকায় সোমবারই নতুন শিবিরটি স্থাপন করা হয়েছিল। সিআরপিএফের ‘কোবরা’ কমান্ডো বাহিনীর সদস্যেরা ছাড়াও শিবিরে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ এবং ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর সদস্যেরা ছিলেন। ছত্তীসগঢ় পুলিশের আইজি পি সুন্দররাজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, অদূরে জোনাগুড়া-আলিগুড়া গ্রামে টহলদারি শেষে শিবিরে ফেরার সময় আক্রান্ত হয় যৌথ বাহিনী। মাওবাদী হামলার জবাবে পাল্টা গুলি চালান জওয়ানেরা।
আহত জওয়ানদের হেলিকপ্টারে করে রাজধানী রায়পুরে চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর সুকমা জেলাতেই মাওবাদী হামলায় এক সিআরপিএফ সাব-ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছিলেন। এর পর চলতি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তীসগঢ়ে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই দেশ থেকে মাওবাদীদের পুরোপুরি নির্মূল করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার।