সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্ডনে গত রাতে একটি ড্রোন হামলা হয়। আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। তাতে তিন আমেরিকান সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে পড়শি ইরানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এর মাঝেই আমেরিকার সঙ্গেও নতুন করে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ল তেহরান। ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জর্ডনে আমেরিকার সৈনিকদের হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার পরেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকা চুপ করে বসে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, যারা দোষী, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে শীঘ্রই।
সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্ডনে গত রাতে একটি ড্রোন হামলা হয়। আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। আমেরিকার তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে হামলায়। এ ছাড়া, আরও অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। এই হামলায় নড়েচড়ে বসেছে আমেরিকা। কারণ পশ্চিম এশিয়ায় ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমেরিকার উপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাইডেন। রবিবার তিনি দক্ষিণ ক্যারোলিনা প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বাইডেন বলেন, ‘‘এই দিনটি আমাদের জন্য কঠিন ছিল। গত রাতে আমরা আমাদের তিন জন সাহসী সৈনিককে হারিয়েছি। আমাদের সামরিকর ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা চুপ করে থাকব না। এর জবাব দেবই।’’
জর্ডনে এই হামলার নেপথ্যে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর হাত আছে বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন বাইডেন। ফলে তিনি কারও নাম না করলেও ইরানের বিরুদ্ধেই যে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট।
অন্য দিকে, জর্ডনের হামলা নিয়ে নিজের ঘরেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। বিরোধীরা এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাইডেনের নীতির সমালোচনা করছেন। তাঁরা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। ফলে আগামী দিনে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা কোনও পদক্ষেপ করে কি না, করলেও তা কতটা জোরালো হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।