যেখানে নির্যাতিত নিজেই আইনভঙ্গের কাজ করছে সেখানে তাঁর উপর হওয়া অপরাধের রিপোর্ট লেখাবেই বা কে? পথে কারও মৃত্যু হলে তাঁর দেহ এখানেই ফেলে রেখে যেতে হয়। শেষকৃত্যের উপায় নেই, সময়ও নেই।
আর যেখানেই যাও সব্বনেশে ‘ডাঙ্কি’ তে খবরদার নয়। ‘ডাঙ্কি রুট’ নিয়ে এ ভাবেই পই পই করে সাবধান করা হয় বিদেশযাত্রার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকা তরুণ-তরুণীদের।
পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাতের সমাজ মাধ্যমে একটু উঁকি ঝুঁকি দিলেই চোখে পড়বে সেই সাবধানবাণী। সঙ্গে ‘ডাঙ্কিরুট’-এর ভিডিয়ো। বর্ণময় বিবরণও। যা পড়লে গায়ে কাঁটা দেবে। দেখলে শিউরে উঠবে শরীর।
ভিডিয়োগুলির কোনওটি তোলা হয়েছে পানামার জঙ্গলে। কোনওটা আবার মরুভূমির মতো ধূ ধূ জনহীন এলাকায়। কোনওটিতে ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এই পথ দিয়ে হেঁটে চলা মানুষের মৃত্যুর দৃশ্য। কোথাও আবার তাঁরা অকথ্য অত্যাচারের শিকার।
এই সব ভিডিয়ো আর ছবির মূল বক্তব্য একটিই। আমেরিকা-ইওরোপে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে কেউ এই ভয়ানক রাস্তা বেছে নিও না। ‘ডাঙ্কি রুটে’ যেও না। তার থেকে নিজের দেশেই থাক। পরিশ্রম করে বাঁচো। কিন্তু এই ‘ডাঙ্কি রুট’ আর রাজকুমার হিরানি পরিচালিত কিং খানের সিনেমা ‘ডাঙ্কি’ কি এক?
বৃহস্পতিবার ভোরে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখের সিনেমা। জানা গিয়েছে, সেই সিনেমার মূল বিষয়বস্তু আবর্তন করেছে এই ভয়াবহ ডাঙ্কি রুট নিয়েই। সিনেমা মুক্তির দিন কয়েক আগে অবশ্য শাহরুখ নিজেও দুবাইয়ে এই নামরহস্য থেকে পর্দা সরিয়েছিলেন।
শাহরুখ বলেছিলেন, ডাঙ্কি আসলে এক অবৈধ সফর। বহু মানুষ এই সফর করেন দেশের সীমা পেরিয়ে বিদেশের মাটি ছোঁয়ার জন্য। এই সফরকে বলা হয় ‘ডাঙ্কি ট্রাভেল’।
কিন্তু এই সফর ভয়াবহ কেন? কেমন এর রাস্তা? ডাঙ্কি রুটে বিদেশে পৌঁছনোর ঝুঁকিটা কোথায়? যাঁরা এই পথে শেষ পর্যন্ত তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছেন, তাঁরা বলছেন ঝুঁকি কোনও এক জায়গায় নয়। ঝুঁকি পদে পদে!