বিগ্রহের গায়ে কী কী গয়না পরানো হবে, তা নিয়ে চলেছিল গবেষণা। বাল্মিকীর রামায়ণ, অধ্যাত্ম রামায়ণ, রামচরিত মানস, আলভান্দর স্তোত্র পড়ে তার পরেই গয়নার নকশা পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
সোমবার দুপুরে অযোধ্যার রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হল রামলালার বিগ্রহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাজলদান করেছেন রামলালার। এই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থেকেছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। সরাসরি সম্প্রচারের সময় রামলালার বিগ্রহ থেকে যেন চোখ সরাতে পারছিলেন না তাঁরা।
৫১ ইঞ্চি উচ্চতার কৃষ্ণশিলা দিয়ে নির্মিত রামলালার বিগ্রহ ছিল আপাদমস্তক গয়নায় মোড়া। রামলালার মাথায় শোভা পাচ্ছিল সোনার মুকুট। বিশেষ ভাবে সকলের নজর কাড়ে এই মুকুটটি।
রামলালার মুকুটটি দান করেছেন গুজরাতের এক শিল্পপতি। মুকেশ অম্বানী নন, নামের মিল থাকলেও এই মুকুট দানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অন্য ব্যক্তি।রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যদের সোনার মুকুট দান করেন মুকেশ পটেল। গুজরাতের সুরাটে হিরের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।রামলালার সোনার মুকুটের ওজন ছয় কিলোগ্রাম। ১১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই মূর্তিটি।
শুধুমাত্র সোনা নয়, রামলালার মুকুট তৈরি হয়েছে হিরে, পান্না, রুবি-সহ নানা বহুমূল্য রত্ন দিয়ে।উত্তর ভারতীয় ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে রামলালার মুকুট। এর ঠিক মাঝখানে শোভা পাচ্ছে সূর্যদেবের প্রতীক। লালরঙা রত্ন বসিয়ে তার শোভা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।রামলালার মুকুটের ডান দিক মুক্তোর ছোট মালার মতো সাজানো রয়েছে। প্রায় চার কিলোগ্রাম ওজনের সোনা ব্যবহৃত হয়েছে মুকুট নির্মাণে।