মেঘনাদ ও প্রমীলার দ্রাম্পত্যজীবনের যে চিত্র এই গ্রন্থে দেওয়া! হইয়াছে তাহা মাইকেলের পরিকল্পনার স্বকীয়তা প্রমাণ করে। ইহা! পরোক্ষভাবে গ্রন্থের মৌলিক পরিকল্পনার উপরেও আলোকসম্পাত করে । মেঘনাদ ও প্রমীলার স্থখের নীড় ধ্বংস হইয়া যাঁওয়।য় আমাদের চিত্ত ব্যথিত হয়, কিন্ত রামলক্ষ্সণের ইহ! ইচ্ছাকৃত অপরাধ নয়। কিন্তু এমনি স্সেহসমৃদ্ধ দাম্পত্যজীবনকে রাবণ সবলে ভাঙ্গিয়া ফেলিয়ছিলেন এবং সেই জন্তই তাহাকে সবংশে নিহত হইতে হইল। মেঘনাঁদবধ কাব্য, বীররসপ্রধান কাবা,)কিন্ত ইহার মধ্যে যে জিনিসটি সর্বাপেক্ষা প্রোজ্জল হইয়। উঠিয়াছে তাহা হইতেছে গারহ্স্থ্য জীবনের পবিত্রতা । ইহাই সীতা ও সবমার কাহিনীর প্রবর্তনার সার্থকতা । ভবভূতির উত্তররামচরিতকে অন্নসরণ করিয়। মাইকেল রামসীতার দণ্ডকারণ্যস্থিত গাস্থ্য জীবনযাত্রার একটি অতি মনোরম চিত্র আকিয়াছেন & সীতা সরমাকে বলিতেছেন ছিন মোর। স্থলোচনে, গোদাব্রী-তীরে, কপোত-কপোঁতী যথা উচ্চবুক্ষচুড়ে বাধি নীড, থাকে সুখে । প্রকৃতির ক্রোড়ে এই যে মাধুধম্তিত জীবন বাড়িয়া উঠিয়াছিল” কপোতীকে অপহরণ করিয়া রাবণ তাহাই বিনষ্ট করিয়াছিলেন। তাঁহার অপরাধ সেই ব্যাধের অপরাধের সঙ্গেই. তুলনীয় যে ক্রৌঞ্চমিথুনের একটিকে নিহত করিয়া শাশ্বত কালের জন্য শিক্কৃত হইয়াছে । রাবণেধ ইহাই এই জাতীয় প্রথম অপরাধ নহে । জটাষু তাহাকে দেখিয়াই বলিয়াছেন চোর তুই, লঙ্কার রাবণ। কোন্ কুলবধূ আজ হরিলি, দুর্মতি ? কার ঘর আধারিলি, নিবাইয়া এবে প্রেমদীপ ? এই তোর নিত্যকর্ম জানি। মহাকাব্যের প্রধান গুণ বিস্তৃতি।) এই একটি ঘটনাকে মাইকেল ঘধুনুদন্ মেঘনাদাবধ কাব্যের ভাষা নানাভাবে বিশালতা দান করিয় ছেন। শুধু জটাযু কেন, সীতা বিশ্বাস করিয়াছেন সমস্ত প্রাকৃতিক শক্তি তাহার গ্লানির কথ! বহন করিয়া রামলক্জ্মণের কাছে পৌছাইয়! দিবে। এই আশায় তিনি আকাশ, সমীর, মেঘ ও ভ্রমরের কাছে আব্দেন করিয়াছেন যে তাহার] তাহার দূতের কাধ কবিবে। তাহার এই বিশ্বাস অলীক নহে, কারণ মাতা বঙ্থম্বরা তাহ।কে স্বপ্নে এই বলিয়। আশ্বস্ত করিয়াছেন )
বিবির ইচ্ছায় বাছা, হরিছে গো।তোরে
রক্ষে রাজ; তোর হেতু সবংশে মজিবে
অধম! এ ভার আমি সহিতে না পারি,
ধরিন্ধ গে। গভে তোনে লঙ্ক। বিনাশিতে। স্থতর।ং সীতা-হরণ ব্যক্তিগত জীবনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নহে; ইহা বিশ্ববিধানের অন্তর্গত এবং সীতার জন্ম হইতে এই বিধানের প্রক্রিয়া আরম্ত হুইযাছে।