“মেধনাদবধ কাব্যের মহাকাঁব্যোচিত পরিকল্পনা ও চওিত্রস্্টির মহিমার উল্লেখের পর উহার বর্ণনার গজন্বিতার কথা বলা প্রয়োজন | . ভাঘ। ভাব্রেই বহন মাত্র এবং ভাষা ছড়া কপির ভ।ব৪ অভিব্যক্ত হইতে পালে ন।। মাইকেলের ভাধায ও বর্ণনায় সর্বত্র মহাকাব্যোচিত ওজস্থিতা, গাভীর্য ও বিস্তৃতির পরিচয় পাওয়া যার | হোমার যেমন কোন দেবতা বা বীরের নাম করিলেই তাহার উপযুক্ত বিশেষণ প্রয়োগ করিয়া বর্ণনায় সমৃদ্ধি আনয়ন করেন, ম্বাইকেলও তেমনি করিয়াছেন । তিনি কোন বীর, বীররমণী ও দেবতা নীম করিলেই তাহাকে উপযুক্ত বিশেষণে বিশেধিত করিয়াছেন। কোথাও তাহাদের পিতামাতা বা স্বামী বা স্ত্রীর নাম করিয়াছেন আবার কোথাও বীরের বিশেষ অস্ত্রের বা তংসম্পকিত প্রাচীন কাহিনীর অবতারণা করিয়াছেন । ইন্দ্রদেব শচীপতি কিংবা দশ্তোলিনিক্ষেপী কিংবা নমুচিস্দন, বরুণ জলেশ পাশী, কান্তিক তারকারি অথবা ক্ৃত্তিকাফুলবল্লভ সেনানী, লক্ষ্মণ সৌমিজি ব। উদ্সিলাবিলাসী, রিভীষণ বিভীষণ রণে (যদিও বিভীষণ রণ করিয়াছেন এমন প্রমাণ .নাই )। শুধু প্রত্যেক নায়র বা নাগ়িকাই যে সর্ব যথাযোগ্য রিশেষণে বিশেধিত হইয়াছেন তাহ। নহে। কবি যখন ইহাদের, রুঝা বঙ্গিমাছেন, তখন শবক্ষাশ পাইলেই ইহাদের চুয়িতের, রূপ্র বা প্রখর সমৃদ্ধ বর্ণনা দিয়াছেন । দৃষ্াস্তম্বরূপ লক্ষণের সঙ্গে শিঁবের সাক্ষাতের ব্নারু উল্লেখ কর! যাইতে পারে £
কতক্ষণে উতবিয়] উদ্যানছুয়ারে
তীম-বানু, সবিস্ময়ে দেখিলা অদূরে
ভীষণ-দর্শন মৃত্তি! দীপিছে ললাটে
শশিকলা, মহোরগ-ললাঁটে যেমতি
মণি! জটাজ,ট শিরে, তাহার মাঝারে
জাহুবীর ফেন-লেখা, শারদ নিশাতে
কৌমুদীর রজোরেখা মেঘমুখে যেন!
বিভৃতি-ভূষিত অঙ্গ; শালবৃক্ষ যেন
ত্রিশূল দক্ষিণ করে। চিনিলা সৌমিত্র
ভূতনাথে।
এই বর্ণনায় মাইকেলের প্রকাশ-ভঙ্গীর প্রকু্ই পরিচয় পাওয়া যায়। মহাদেব
ভোলানাথ, তিনি ভিখারী, তিনি শিব। কিন্ত এখানে তাহার কল্যাণমুত্ির কোন পরিচয় নাই। কৰি প্রকাশ করিয়াছেন তাহার ভীমকান্তরূপ। সেই জন্য তিনি এমন কয়েকটি জিনিষই নির্বাচন করিয়াছেন যাহা এই ভীষণতার পরিচয় দিতে পারে-_ললাঁটে শশিকলা, শিরে জটাজ,ট এবং তাহার মাঝারে জাহুবীর ফেনলেখা, অঙ্গে বিভূতি, হস্তে ত্রিশল। এই বর্ণনায় 'মহোরগ*শব্দটিও লক্ষণীয় । বর্ণনাকে ওজন্ষিতা দেওয়ার জন্য মাইকেল সাধারণতঃ গুরুগম্ভীর ও অপেক্ষাকৃত অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন। ইহাতে তাহার কাবা ওজোগুণসমৃদ্ধ হইয়াছে এবং অনেক জায়গায় সংযুক্ত ব্যগ্মবর্ণবন্ল পদের প্রয়োগে এই ওজন্বিতা পরিপুষ্টি লাভ করিয়াছে । ইন্দ্রকে সুনাসীর, সূর্যকে ত্বিষাম্পতি, বজ্কে ইরম্মদ, লৌহাস্ত্রকে প্রক্ষেড়ন বলিলে বর্ণনার গৌরব ও গাস্ভীর্য বুদ্ধি পায়। মাইকেল এই রীতির বহুল প্রয়োগ করিয়া মহাকাব্যোচিত দীপ্তি আনয়ন করিয়াছেন। তীহাঁর কাব্যে প্রাধান্য পাইয়াছে রৌদ্র, বীর ও অদ্ভুত রন এবং এই. সকল রসের জম্যও ওজন্বী বর্ণনার প্রয়োজন। নংস্কত আলঙ্কারিকেরা বলিয়াছেন যে কোন কোন স্থানে ব্যতিক্রম থাকিলেও সাধারণতঃ যে দীপ্তি বা ওজন্থিতা বীর, রৌদ্র বা অদ্ভূত রস প্রকাশ করে তাহা নীর্ঘ সমাসবন্ধ পদের অপেক্ষা রাখে।