shabd-logo

চোর

3 December 2023

0 Viewed 0

ঠিক যেই নিতাইদের বাড়ির পেছনের সেই ঝাঁকড়ান্ডুলো ঝোপটার কাছে এসেছি, পকেট হাতড়ে দেখি যে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে! সেই কোনা-মোড়া আধ-ময়লা নোটটা কে যেন বুক-পকেট থেকে তুলে নিয়েছে!

ভীষণ ঘাবড়ে গেলাম। ভয়ের চোটে কোট খুলে, শার্ট-প্যান্ট ঝেড়ে-ঝুড়ে ভালো করে খুঁজে দেখলাম। জুতো-মোজা খুলে তার ভেতরে হাতড়ে দেখলাম। কোথাও কিছু নেই।

গলা শুকিয়ে গেল। বাবা যে রোজ বলেন আমার আলজিবটা আর টনসিল-দুটো বেড়ে-বেড়ে গলার ফুটো একেবারে বন্ধ করে ফেলেছে, এ কথা যে সত্যি তা টের পেলাম। চুলগুলো শির-শির্ করে একে-একে সব উঠে দাঁড়াল, আর তার ফাঁকের মধ্যে দিয়ে ঠান্ডা মতন কিসের হাওয়া বইতে লাগল। আজকে ঐ নোট হারানো মানে একেবারে আমার সর্বনাশ হওয়া। পিসিমা বার বার বলে দিয়েছেন-তাঁর সেমিজের ছিট হ-গঞ্জ, তাঁর নাতির হাতওয়ালা গেঞ্জি দুটো, হলদে জুতো একজোড়া- আমার মাপের হলেই চলবে, এই-সব কিনে যদি কিছু বাকি থাকে, সেই দিয়ে আমার সেই রঙিন খড়ির বাক্স কিনতে পারি। আর, সে বাক্স আজ না কিনলে, কাল ইস্কুলে আমার যে কি অবস্থা হবে, তা জানবে শুধু গোবিন্দবাবু আর আমি, আর ক্লাসের বাকি উনত্রিশটা ছেলে।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে অবধি কি কি করেছিলাম, ভালো করে ভেবে দেখলাম। গেটের বাইরের সেই আশ্চর্য লোকটার কথা টপ্‌ করে মনে পড়ে গেল। এখন মনে হল, তার মুখটা কেমন চোর-চোর মতন। তখন বুঝতে পারি নি। ভেবেছিলাম-চেনা-চেনা লাগছে কেন? মনে পড়ল যে শুনেছি, কানের লতিটা ঝলঝুল না করে মাথার সঙ্গে জোড়া থাকলে বুঝতে হবে লোকটা সুবিধের নয়। তায় আবার চোখদুটো সরু-সরু লম্বা-লম্বা, নাকের দু-পাশে খুব কাছাকাছি পিট্-পিট্ করছে। ঝাঁটার মতো গোঁফ, তিনদিনের দাড়ি। ও-ই চোর না হয়ে যায় না। ওরু সারা মুখে যেন তাই লেখা আছে।

আমি কেন তখন টের পাই নি? সে আমার দিকে খানিক তাকিয়ে বলেছিল, "দেশলাই আছে?" আমি রেগে বলেছিলাম-"আমি বিড়ি খাই না।" সে বলেছিল, "বিড়ির জন্য নয়। আমারও গুরুদেবের বারণ আছে। হুঁকো?-হ্যাঁ। চুরুট-হ্যাঁ; পাইপ?-হ্যাঁ। কিন্তু বিড়ি কখনো না। আমার একটা দরকারি কাগজ পড়ে গেছে কিনা, অন্ধকারে দেখতে পাচ্ছি না, তাই ?"

তখন দুজনে হামাগুড়ি দিয়ে খানিকটা খুঁজলাম। নিশ্চয় সেই সময়ে কখন টুপ্ করে আমার সেই কোনা-মোড়া আধ-ময়লা দশ- টাকার নোটখানি সে তুলে নিয়েছে। মনে হল 'পেয়েছি' বলে সে এমনি হঠাৎ ঘুরেছিল যে, আমি তার পেছনের ধাক্কা খেয়ে ধপ্ করে মার্টিতে বসে পড়েছিলাম। সে-ই যে চোর-এর কোনো সন্দেহ নেই।

তখুনি ফিরে তার সন্ধানে চললাম। অন্ধকারে তাকে চিনতে না পেরে একেবারে তার উপর দিয়ে আরেকটু হলেই হেঁটে যাচ্ছিলাম। সে জামা-টামা ঝেড়ে বলল, "কিছুতে তাড়া করেছে নাকি?" আমি বললাম, "না, তোমার সঙ্গে সঙ্গে যেতে ইচ্ছে করল।"

সে কিছু না-বলে একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার এগুতে লাগল।

পথে তার সঙ্গে অনেক কথা হল, কিন্তু আমার মনটা তার বুক- পকেটের মধ্যে আনাগোনা করতে লাগল। একটু দূরে বাস-স্টপের কাছে এসে বলল, "আর হাঁটা যায় না।

চল, বাসে যাই।"

দুজনে বাসে উঠলাম, পাশাপাশি বসলাম। কন্ডাক্টর পয়সা চাইলে, সে-ই দুজনের হয়ে টিকিট কাটল। ভাবলাম-হঠাৎ বড়লোক হয়েছে, তা আর কাটবে না?

দুজনেরই ঘুম পাচ্ছিল। এক দিক দিয়ে ভালোই। আমি চাই সে ঘুমোয়, আবার আমি সুদ্ধ ঘুমিয়ে পড়লে তো চলবে না। সে চাই কি আমার জুতোজোড়াটা হয়তো পা থেকে খুলে নিয়ে নেমে পড়বে। কন্ডাক্টরের তো উপর দিকে এত বড় পাগড়ি আর নীচের দিকে এত বড় দাড়ি যে, কিছু দেখতে পায় কিনা সন্দেহ।

তাই আমি তাকে মামাবাড়িতে ডাকাত পড়ার একটা গল্প বানিয়ে বানিয়ে আস্তে আস্তে একটানা সুরে বলতে লাগলাম, আর সে একটু অন্য দিকে তাকালেই আস্তে আস্তে তার পিঠ চাপড়াতে লাগলাম, যাতে সে শিগ্ গির ঘুমিয়ে পড়ে। সেই একঘেয়ে গল্পের চোটে আমার সুদ্ধ ঘুম পেতে লাগল।

হঠাৎ চমকে দেখি, সে তার সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে ঘুমোচ্ছে, মাথাটা বাসের ঝাঁকুনিতে একটু করে নড়ছে, আর বুক-পকেটটা একটু হাঁ হয়ে রয়েছে। তার মধ্যে ভাঁজ-করা একটা কোনা-মোড়া আধ- ময়লা দশ-টাকার নোট!

আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল, আমি এদিক-ওদিক দেখে হঠাৎ টুপ করে সেটি তুলে নিলাম।

প্যান্টের পকেটে সবে পুরেছি, বাসটা একটা ঝাঁকুনি দিল আর সেও সোজা হয়ে বসে চোখ রগড়াতে লাগল। আমি যত জোর করে আমার চোখদুটোকে অন্য দিকে ঘুরোতে চাই, সে-দুটো তবু ফিরে-ফিরে ওর ঐ হাঁ করা পকেটের দিকে তাকায়।

বাস থেকে নেমে বাঁচলাম। সে এক দিকে চলে গেল, আমি আরেক দিকে চলে গেলাম। ছিট কিনলাম, গেঞ্জি কিনলাম, জুতো কিনলাম, খড়ি কিনলাম। যতক্ষণে বাড়ি ফিরলাম, সেই লোকটার কথা ভুলেই গেছি।

বাড়ি এসে পিসিমাকে জিনিসপত্র দিয়ে ঘরে গিয়ে পড়ার টেবিলে গুড়ি রাখতে যাব, যা দেখলাম তাতে আমার একেবারে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল! পেটের ভিতর কিরকম করতে লাগল্প, টনসিল দুটো আবার বড় হয়ে গলাটাকে ঠুসে ধরল!

দেখলাম-দোয়াত চাপা দেওয়া কোনা-মোড়া আধ-ময়লা দশ-টাকার নোটটা-সেই যে বাড়ি থেকে বেরোবার আগে জুতো পরবার সময় যেমন রেখেছিলাম, ঠিক তেমনটি রয়েছে!

সেই লোকটার পকেট থেকে নেওয়া ও খরচ-করা সেই নোটটার কথা মনে করে আমার হাত-পা যেন পেটের ভিতর সেঁদিয়ে গেল।

কাকে কি বলব?

23
Articles
লীলা মজুমদার রচনাবলী ১
0.0
লীলা মজুমদারের ছোট ছোট কিছু অবিস্মরণীয় সৃষ্টি একত্রে আনা হয়েছে রচনাবলী ১ বইটির মধ্যে। এটি এমন একটি উপন্যাস যেখানে গল্পগুলি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যাতে বইটি সব বয়সের মানুষই পড়তে পারেন, এবং এর মজা উপলব্ধি করতে পারেন।
1

পদিপিসীর বর্মিবাক্স

28 November 2023
0
0
0

পাঁচুমামার প্যাকাটির মতন হাত ধরে টেনে ওকে ট্রেনে তুললাম। শূন্যে খানিক হাত-পা ছুড়ে, ও বাবাগো মাগো বলে চেঁচিয়ে-টে চিয়ে শেষে পাঁচুমামা খচ্ করে বেঞ্চিতে উঠে বসল। তার পর পকেট থেকে লাল রুমাল বের করে কপালের

2

বক-বধ পালা

28 November 2023
0
0
0

পালা শুরু জুড়ির সুর করে আবৃত্তি, মৃদু মুনু তবলা ইত্যাদি সহযোগে পোড়া জতুগৃহ থেকে বাহিরিয়া যবে, পাণ্ডব বঝিলা মনে এ বিশাল ভবে গৃহ বন্ধু কিছু নেই, নিলা বনবাস। দুঃখে কষ্টে বৃক্ষতলে কাটে দিনমাস। কত যে বিপদ

3

এই যা দেখা

29 November 2023
2
0
0

কলকাতা শহরের উত্তর দিকে সরু একটা সদর রাস্তা, তাতে লোকজন গাড়িঘোড়ার ভিড় কত, ভোর থেকে গভীর রাত অবধি হাঁকডাক ঠেলাঠেলি। লোকে বলে পথটা খুব পুরনো, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্ব কালে তৈরি, ঘরবাড়িগুলো এ ওর গায়

4

ছেলেবেলার গল্প

30 November 2023
0
0
0

গণশার চিঠি ভাই সন্দেশ, অনেকদিন পর তোমায় চিঠি লিখছি। এর মধ্যে কত কী যে সব ঘটে গেল যদি জানতে, তোমার গায়ের লোম ভাই খাড়া হয়ে গেঞ্জিটা উঁচু হয়ে যেত, চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসত, হাঁটুতে হাঁটুতে ঠকাঠক্ হয়ে কড়া পড়

5

হলদে পাখির পালক

1 December 2023
0
0
0

এক কত দেরি হয়ে গেল ভুলো তবু বাড়ি এল না, সন্ধে হয়ে গেল, রাত হয়ে গেল। দাদু তাস খেলতে যাবার আগে বললেন, "খুঁজতে যাবার কিছু দরকার নেই, কেউ তোদের নেড়িকুত্তো চুরি করবে না, খিদে পেলে সুড়সুড় করে নিজেই বাড়ি ফি

6

বহুরূপী

2 December 2023
0
0
0

ছোটবেলাকার কত কথাই যে মনে পড়ে, কত কান্ডই যে তখন হত। একবার গুপের মামাতো ভাই ভোঁদা বলেছিল যে বহুরূপীরা পর পর সাতদিন আসে, একেক দিন এক এক নতুন সাজে। কখনো কখনো সবাই তাকে বহুরূপী বলে চিনে ফেলে, আবার কখনো কখ

7

মহালয়ার উপহার

2 December 2023
0
0
0

শিবু, শিবুর মা আর শিবুর বউ তিন নম্বর হোগলাপট্টি লেনের দোতলার তিনখানি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। একটা ঘরে শিবুর মা শুত, সেটা সব থেকে বড় ও ভালো, কারণ বুড়ি ভারি খিটখিটে। আরেকটাতে শিবু আর শিবুর বউ, শুত, সেটা মাঝ

8

ভানুমতীর খেল

3 December 2023
0
0
0

গোরুদের ঘরের পিছনের ছোট ফটকটার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই লোকটাকে দেখতে পেলাম। গোয়ালের কোনায় একটা মাটির ঢিবির উপর ঝোপের আড়ালে বসে-বসে একটা দেশলাই কাঠি দিয়ে দাঁত খুঁটছে আর একটু-একটু পা দোলাচ্ছে। সারা গায়ে ধুলো

9

পঞ্চমুখী শাঁখ

3 December 2023
0
0
0

বন্ধুদের দেশের বাড়িতে একটা প্রকাণ্ড পঞ্চমুখী শাঁখ আছে! শুনেছি শাঁখটা নাকি দেড়শো বছর ধরে ওদের বাড়িতে রয়েছে। ওর নানা- রকম গুণটুনও নাকি আছে। আগে রোজ ওর পুজো হত, পুরুতঠাকুর আসত, খাওয়া-দাওয়া হত। তবে সত্তর

10

হুঁশিয়ার

3 December 2023
0
0
0

যখন সামনের লোকটার লোমওয়ালা ঘেমো ঘাড়টার দিকে আর চেয়ে থাকা অসম্ভব মনে হল, চোখ দুটো ফিরিয়ে নিলাম। অমনি কার জানি একরাশি খোঁচা-খোঁচা গোঁফ আমার ডান দিকের কানের ভিতর ঢুকে গেল। চমকে গিয়ে ফিরে দেখি ভীষণ রোগা,

11

সেকালে

3 December 2023
0
0
0

পঁয়ষট্টি বছর আগে আমার মামাবাড়ির দেশে এক দিকে যেমন সাধু- সজ্জনের ভিড় ছিল এবং তার ফলে পুজোপার্বণ, তিথিপালন, হরির লুট, ব্রাহ্মণ-ভোজন, কাঙালী-বিদায় লেগেই থাকত, আবার তেমনি অন্য দিক দিয়ে ঠগ-ঠ্যাঙাড়ে, জোচ্চো

12

চোর

3 December 2023
0
0
0

ঠিক যেই নিতাইদের বাড়ির পেছনের সেই ঝাঁকড়ান্ডুলো ঝোপটার কাছে এসেছি, পকেট হাতড়ে দেখি যে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে! সেই কোনা-মোড়া আধ-ময়লা নোটটা কে যেন বুক-পকেট থেকে তুলে নিয়েছে! ভীষণ ঘাবড়ে গেলাম। ভয়ের চোটে ক

13

টাইগার

3 December 2023
0
0
0

তাকে উলটে দেখলাম থাবার তলাটা গোলাপী মখমলের মতো, মাঝে- মাঝে কচি-কচি সাদা লোম। পেটের তলাটাও গোলাপী-নরম তুলতুলে এক জায়গায় একটা শিরা না কি যেন ধুন্ধুক্ করছে। মুণ্ডুটাকে তুলে আবার নিজের পেট দেখতে চেষ্টা কর

14

লোমহর্ষণ

3 December 2023
0
0
0

রাজামশাই ব্যস্ত হয়ে দরদালানে পায়চারি করে বেড়াচ্ছেন, খিদেয় পেটের এ-দেয়াল ও-দেয়াল একসঙ্গে লেপটে যাচ্ছে, টেবিল পাতা, সোনার বাসন-কোসন সাজানো, মুক্তো-বসানো গেলাসে কেয়ার গন্ধ-দেওয়া জল, রানী ওদিকে মখমলের গদি

15

ভালোবাসা

3 December 2023
0
0
0

আজকাল সবই অন্যরকম লাগে। দরজার কড়া নাড়বামাত্র ভিতর থেকে একটা ভারী জিনিস দরজার উপর আর আছড়েও পড়ে না। নখ দিয়ে কেউ দরজায় আঁচড়িয়ে, পালিশ উঠিয়ে, বকুনিও খায় না; ঘরে ঢুকবামাত্র নেচেকঁদে গায়ের উপর চড়ে একাকারও ক

16

তেজী বুড়ো

3 December 2023
0
0
0

আয়না দেখে আঁতকে উঠলুম। এ তো আমার সেই চিরকেলে চেহারা নয়! সেই যাকে ছোটবেলা দেখেছিলুম ন্যাড়া মাথা, নাকে সদি, চোখ ফুলো! তার পর দেখেছিলুম চুল খোঁচা, নাক খাঁদা, গালে-টালে কাজল! এই সেদিনও দেখলুম খাকি পেন্টেল

17

দিনের শেষে

5 December 2023
0
0
0

লক্ষ্ণৌ থেকে ওস্তাদ এসেছে। দাদু আর দিদিমা শ্যামলবাবুদের বাড়িতে গান শুনতে গেছেন, ফিরতে রাত হবে। ঝগড় বলল, "তা তোমরা যদি সব-কিছুই বিশ্বাস না করে আনন্দ পাও, তা হলে আমার আর কিছু বলবার নেই। তবে সর্বদা মনে

18

আমাদের দেশে

5 December 2023
0
0
0

আমাদের দেশের কথা আর কী বলব, সে কি আর এখন আমাদের আছে? একেবারে পাকিস্তানের পূর্বকোণে ঠুসে দিয়েছে। কিন্তু সেখানকার লাল-লাল গোল-আলু আর সেখানকার পাকা সোনালী আনারস আর আঠাল দুধের ক্ষীর যে একবার খেয়েছে সে সার

19

পালোয়ান

5 December 2023
0
0
0

নিউ মার্কেটের পিছনে বাঁদরের দোকান আছে। ছোট-ছোট খাঁচায় পোরা বাঁদরের ভিড়, এ-ওর গায়ে চিকে রয়েছে। তা ছাড়া সাদা ইঁদুর, বেজি, কাকাতুয়া, কালোমুখো ল্যাজ-প্যাঁচানো শ্যামদেশের বেড়াল, ভালুক বাচ্চা, আরো কত কি যে

20

গুণ-করা

5 December 2023
0
0
0

বুঝলে, আমার মামাবাড়িতে ফান্ড বলে একটা চাকর ছিল। বাঙালি নয়। ঐ গারো পাহাড়ে অঞ্চলে ওর বাড়ি। আশা করি গারো পাহাড় কোথায় সে কথা আর তোমাদের বলে দিতে হবে না। ফান্ড যে বাঙালি নয় সে ওকে দেখলেই বোঝা যেত। বেঁটে, ম

21

কি বুদ্ধি

5 December 2023
0
0
0

জন্তু জানোয়ারদের বিষয়ে কতরকম অদ্ভুত গল্পই যে শোনা যায় তার আরু ঠিক নেই। একবার নাকি একটি ব্যাঙ কেমন করে পাথরের ফোকরের মধ্যে বদ্ধ হয়ে গিয়ে, ঐভাবে কতকাল যে ছিল তার ঠিক নেই। বোধ হয় অনেক শো বছর। তার পর যেই

22

বনের ধারে

5 December 2023
0
0
0

ছোটবেলায় পাহাড়ে দেশে থাকতাম। চার দিকে ছিল সরলগাছের বন। তাদের ছুচের মতো লম্বা পাতা, সারা গায়ে ধুনোর গন্ধ, একটুখানি বাতাস বইলেই শোঁ শোঁ একটা শব্দ উঠত। শুকনো সময় গাছের ডালে ডালে ঘষা লেগে অমনি আগুন লেগে য

23

মেজোমামার প্রতিশোধ

5 December 2023
0
0
0

আমার মেজোমামাকে নিশ্চয় তোমরা কেউ দ্যাখ নি। হাড় জিজিরে রোগা বেঁটে মতন, সরু লিক্লিকে হাত-পা, সারা মুখময় খোঁচা-খোঁচা দাড়ি গোঁফ। কারণ মেজোমামা দু সপ্তাহে একবার দাড়ি চাঁচেন, নাকি দাড়ি কামালেই মুখময় আঁচড়ে য

---