পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে- জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে বুনো হাঁস পাখা মেলে- সাঁই-সাঁই শব্দ শুনি তার; এক-দুই-তিন-চার অজস্র অপার-
রাত্রির কিনার দিয়ে তাহাদের ক্ষিপ্র ডানা ঝাড়া এজিনের মতো শব্দে। ছুটিতেছে- ছুটিতেছে তা'রা। তারপর প'ড়ে থাকে নক্ষত্রের বিশাল আকাশ, হাঁসের গায়ের ঘ্রাণ- দু-একটা কল্পনার হাঁস;
মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা সাঞ্চালের মুখ; উড়ুক উড়ুক তা'রা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়ুক কল্পনার হাঁস সব; পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেলে পর উড়ুক উড়ুক তা'রা হৃদয়ের শব্দহীন জ্যোৎস্নার ভিতর।