জয়ন্ত নন্দী
: ছোটদের পত্রিকা 'হাউই'-এর সম্পাদক
তরুণ সান্যাল : জয়ন্তর বন্ধু
তিনকড়ি ধাড়া: 'হাউই'-এর দপ্তরের কর্মচারী। কাজ-বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করা
তন্ময় সেনগুপ্ত: লেখক
মুকুল
: দপ্তরের কর্মচারী
ধনঞ্জয়/আলম্: দপ্তরের বেয়ারা
অর্দ্ধেন্দু রায় : জনৈক গ্রাহকের বাবা
বালিগঞ্জে ছোটদের পত্রিকা 'হাউই'-এর দপ্তর। ঘরের মাঝখানে একটা টেবিল-তার পিছনে একটা চেয়ারে সম্পাদক জয়ন্ত নন্দী বসে আছে। জয়ন্তর বয়স বছর ৩৫। তার উলটোদিকে দুটো চেয়ারের মধ্যে একটায় তার বন্ধু তরুণ সান্যাল হাতে একটি সিগারেট নিয়ে বসে। ঘরের একপাশে দেখা যাচ্ছে বেয়ারা আলম নতুন 'হাউই' পত্রিকা ডাকে দেবার জন্য সেগুলো ব্রাউন কাগজের প্যাকেটে ভরছে। পিছন দিকে মঞ্চের মাঝখানে একটা বন্ধ দরজা, তার পিছনেও একটা ঘর আছে বোঝা যায়। বন্ধ দরজার পাশে একটা খালি চেয়ার। জয়ন্ত আর তরুণের সামনেই চায়ের পেয়ালা। তরুণ তার কাপে চুমুক দিয়ে সিগারেটে একটা টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে।
তরুণ
॥ তা হলে তোদের অবস্থা বেশ ভালই বলছিস?
জয়ন্ত
॥ তা ভাই তেরো হাজার সাবস্ক্রিপশন, স্টল থেকে হাজার চারেক বিক্রি হয়-খারাপ আর কী করে বলি বল। আর বিজ্ঞাপন থেকেই খরচা উঠে আসে। এ মাসে তো চারখানা রঙিন বিজ্ঞাপন আছে, তার মধ্যে দুটো রেগুলার আর দুটো অকেশনাল। ছাপাও খারাপ হচ্ছে না। আগের প্রেসটা সুবিধের ছিল না। গত বৈশাখ থেকে প্রেস বদলেছি-এখন বেশ ঝরঝরে হয়েছে। এই যে দেখ না- জয়ন্ত একটা পত্রিকা টেবিলের উপর থেকে তুলে তরুণকে দেয়। তরুণ সেটা উলটে পালটে দেখে। জয়ন্ত তরুণ
জয়ন্ত
॥ তোর তো লেখার হাত বেশ ভাল ছিল। একটা লেখ না আমাদের কাগজের জন্য। ॥ পয়সা দিচ্ছিস লেখকদের?
॥ তা দিচ্ছি বই কী। নেহাত খারাপ নয়। একটা গল্পের জন্য একশো টাকা। উপন্যাস
হলে ফাইভ হান্ড্রেড। অবিশ্যি লেখক নতুন না নামী তার উপর রেট খানিকটা নির্ভর করছে। ॥ নামটিও কাগজের ভাল হয়েছে। হাউই। ভেরি অ্যাট্রাকটিভ।
তরুণ
জয়ন্ত
॥ এই পুজোর জন্য একটা উপন্যাস পেয়েছি-সম্পূর্ণ অপরিচিত লেখক-নাম নবারুণ চট্টোপাধ্যায়। তোকে বলছি এমন ট্যালেন্টেড লেখক সচরাচর চোখে পড়ে না। আমি তো পড়ে তাজ্জব। ভদ্রলোক থাকেন আবার বাগবাজারে-না হলে
একবার ডেকে এনে আলাপ করার ইচ্ছে ছিল।
জয়ন্ত
॥ কী ধরনের উপন্যাস?
॥ অ্যাডভেঞ্চার। যেমন সব চরিত্র, তেমনি পরিবেশ, তেমনি সাসপেন্স। লাদাখ-এর ব্যাকগ্রাউন্ড। লোকটা হয় নিজে গেছে, না হয় প্রচুর পড়াশোনা করে লিখেছে। আমি তো পড়ে মোহিত।
ডানদিকে দপ্তরের রাস্তার দিকের দরজায় টোকা পড়ে। একজন বেঁটে, নিরীহ ভদ্রলোক, মাথায় টাক, পরনে গেরুয়া
পাঞ্জাবি এবং খাটো ধুতি, দরজার মুখটায় এসে দাঁড়িয়েছেন। এঁর নাম তিনকড়ি ধাড়া।
তিনকড়ি
॥ এটা কি হাউই পত্রিকার আপিস?
জয়ন্ত
।। আজ্ঞে হ্যাঁ।
তিনকড়ি
।। আমার একটু সম্পাদক মশাইয়ের সঙ্গে দরকার ছিল।
জয়ন্ত তিনকড়ি
।। আমিই সম্পাদক-আপনার কী দরকার? ॥ সেটা, মানে, বসে বলতে পারলে ভাল হত।
জয়ন্ত
। আপনি ভিতরে আসুন।
তিনকড়িবাবু ভিতরে আসেন।
জয়ন্ত ।। আপনি ওই চেয়ারটায় বসুন। আমি একটু ব্যস্ত আছি।
তিনকড়িবাবু টেবিলের চেয়ে একটু দূরে রাখা একটা কাঠের চেয়ারে বসে ধুতির খুঁট দিয়ে ঘাম মোছেন। জয়ন্ত তরুণের দিকে ফেরে।
জয়ন্ত
॥ হ্যাঁ-যা বলছিলাম। এখন সমস্যা হয়েছে আর্টিস্ট নিয়ে। এই গল্পের বেশ জোরদার ছবি না হলে চলবে না। তোর তো অনেক বই আছে-লাদাখ সম্পর্কে
তরুণ
কিছু আছে কি-ছবির বই? ॥ তা থাকতে পারে। আমি দেখব'খন।
জয়ন্ত
তরুণ
॥ আমাকে যদি দিন সাতেকের জন্য ধার দিতে পারিস। এখন ছবিতে গোঁজামিল দিলে চলে না। ভাল রেফারেন্স দেখে আঁকা চাই। আশিস মিত্র ছেলেটির হাত বেশ ভাল। তোর কাছ থেকে যদি বইটা পেয়ে যাই, তা হলে ইলাসট্রেশন সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
তরুণ
॥ তুই যে রকম বলছিল তাতে তো লেখাটা আমার এখনই পড়তে ইচ্ছে করছে। সত্যি বলতে কিশোরদের লেখা পড়তে বেশ লাগে এই বয়সেও। রঘুনাথ মুৎসুদ্দীর প্রবেশ। তরুণের পাশেই আরেকটা চেয়ারে বসে ঘাম মোছেন।
রঘুনাথ
॥ ভেরি সাক্সেসফুল মর্নিং। শারদীয়া সংখ্যার জন্য কোনও চিন্তা নেই। ৬টা কালার
বিজ্ঞাপন পাওয়া যাচ্ছে-আর এখন অবধি ২৪টা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট হয়েছে- ভারত ইনসিওরেন্স আর পোদ্দার বিস্কিট কথা দিয়েছে, মনে হয় হয়ে যাবে।
জয়ন্ত
॥ রেট নিয়ে কেউ গাঁইগুই করেনি তো?
রঘুনাথ
॥ নাঃ। আজকাল তো সব কাগজেই একরকম রেট হয়ে গেছে-আমাদেরটা যে খুব একটা অতিরিক্ত বেশি তা তো নয়, কাজেই আপত্তি করার তো কোনও কারণ নেই। জয়ন্ত
॥ ম্যাটারগুলো সব ঠিক সময় পাঠিয়ে দেবে তো? গতবার বিজ্ঞাপন প্রমিস করে পাঠাতে লেট করেছিল বলে আমাদের কাগজ বেরোতে দেরি হয়ে গেল।
!! আমি তো পই পই করে বলে এসেছি, এখন দেখা যাক। ইয়ে ধনঞ্জয়!
রঘুনাথ
পিছনের ঘর থেকে ধনঞ্জয় বেয়ারার গলা পাওয়া যায়।
ধনঞ্জয়
বাবু
রঘুনাথ
চট করে এক পেয়ালা চা করো তো।
রঘুনাথ পিছনের ঘরে চলে যায়। লেখক তন্ময় সেনগুপ্ত রাস্তার দিকে দরজা দিয়ে ঢোকে।
তন্ময়
!! (জয়ন্তকে) গুড মর্নিং স্যার।
জয়ন্ত
॥ গুড মর্নিং।
তন্ময়
।। আমার লেখাটার বিষয় জানতে এসেছিলাম।
জয়ন্ত
।। আপনার উপন্যাসটা?
তন্ময়
॥ হ্যাঁ।
জয়ন্ত
॥ কেন-ওটা আপনি এখনও পাননি? ওটা তো ফেরত চলে গেছে-আপনার তো
স্ট্যাম্প দেওয়া ছিল।
।। তার মানে কি পছন্দ হল না?
তন্ময়
জয়ন্ত
।। আজ্ঞে না, ভেরি সরি। ওতে আপনার বিস্তর গণ্ডগোল-বিশ্বাসযোগ্যতার একান্ত অভাব। দশ-বারো বছরের ছেলেরা ওরকমভাবে কথা বলে না। আর অত সাহসও ওদের হয় না। কিছু মনে করবেন না-কিন্তু এ গল্প ছাপলে আপনার সুনাম হত না। আমি পাণ্ডুলিপির সঙ্গে একটা স্লিপ অ্যাটাচ করে আমার মন্তব্য দিয়ে দিয়েছি। আপনার তো দুটো লেখা এর আগে ছাপা হয়েছে। এটা না হয় নাই হল। । তা হলে আপনারা কি এবার উপন্যাস দিচ্ছেন না?
তন্ময় জয়ন্ত
তন্ময়
জয়ন্ত
তন্ময়
জয়ন্ত
তন্ময়
জয়ন্ত
তন্ময়
জয়ন্ত
তন্ময়
জয়ন্ত
॥ দিচ্ছি বই কী।। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এরকম উপন্যাস এবারের আর কোনও পুজো সংখ্যায় ছাপা হবে না।
!! নামকরা লেখক?
।। একেবারেই না। আমার তো মনে হয় এটিই এনার প্রথম লেখা।
॥ কী নাম লেখকের?
॥ নবারুণ চট্টোপাধ্যায়। শুনেছেন নাম? ॥ না। তা শুনিনি বটে।
। আমিও নামই শুনেছি, আর লেখা পড়েছি। পরিচয় হয়নি। ভদ্রলোক থাকেন সেই
বাগবাজারে।
॥ ভেরি লাকি বলতে হবে।
॥ এ তো আর লাকে হয় না, ভেতরে ক্ষমতা থাকা চাই। ইদানীং কিশোরদের লেখা যা দেখেছি তার মধ্যে এঁরটাই যে বেস্ট বাই ফার তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
॥। আমি তা হলে উঠি।
। আসুন। আপনার লেখা দু-একদিনেই পেয়ে যাবেন। কলকাতার ডাক তো!
বালিগঞ্জ টু শ্যামবাজার চিঠি যেতে সাতদিন লাগে।
তিনকড়িবাবু তাঁর জায়গা থেকে গলা খাকরানি দেন।
তিনকড়ি
জয়ন্ত
তিনকড়ি
জয়ন্ত
ধনঞ্জয় আসে।
ধনঞ্জয়
জয়ন্ত
। ইয়ে, মানে-
। আপনি আরেকটু বসুন না। শুনছি আপনার কথা। ॥ না, মানে-যদি একটু খাবার জল পাওয়া যেত।
।। ধনঞ্জয়!
॥ বাবু?
। ওই ভদ্রলোককে এক গেলাস জল দাও তো।
ধনঞ্জয় জল এনে দেয়। ভদ্রলোক ঢক্ ঢক্ করে গেলাস শেষ করে আবার ধূতির খুঁট দিয়ে কপালের ঘাম মোছেন। জয়ন্তর টেবিলের উপর একটা পাখা চলছে বটে, কিন্তু তার হাওয়া তিনকড়িবাবুর কাছে পৌঁছচ্ছে না। জয়ন্ত আবার তরুণের দিকে মন দেয়।
জয়ন্ত
তরুণ
জয়ন্ত
তরুণ
জয়ন্ত
তরুণ
জয়ন্ত
তরুণ
।। কাগজের কথা বলতে গিয়ে আসল কথাই ভুলে যাচ্ছিলাম। তোর ভাগনির তো বিয়ে।
॥ হ্যাঁ। এই তো আসছে মাসে। তোরা আসিস। তোর নামে চিঠি যাবে।
॥ তা তো যাব, কিন্তু এই পুজো সংখ্যার চাপে টাইম করে উঠতে পারব কি না জানি না।
। ও সব শুনছি না। একটা সন্ধে দুটি ঘন্টা তোর কাজের মধ্যে থেকে বার করে নিতে হবে।
॥ কী বলছিস-এখন যে ক্রিকেট, তাই দেখা হল না টেলিভিশানে। ।। ওয়ান-ডের খেলাটাও দেখিসনি?
।। কোথায় আর দেখলাম।
।। এঃ-খুব মিস করেছিস। এরম খেলা চট করে দেখা যায় না। তোর উপন্যাসের
সাসপেন্স কোথায় লাগে। তরুণ তার সিগারেট অ্যাশট্রেতে ফেলে দেয়।
তরুণ
জয়ন্ত
তরুণ
জয়ন্ত
॥ যাক গে-আমি আর তোর সময় নেব না।
॥ লেখার কথাটা ভুলবি না তো?
॥ দেব লেখা-তবে পয়সা দিতে হবে কিন্তু। বন্ধু বলে হবে না। । তা দেব'খন। তোর এক প্যাকেট সিগারেট হয়ে যাবে। তরুণ
। আসি-
তরুণ দপ্তর থেকে বেরিয়ে যায়। জয়ন্ত তিনকড়িবাবুর দিকে ঘুরতে যাবে এমন সময় দপ্তরে আরেকজন প্রবেশ করেন। ইনি অর্দ্ধেন্দু রায়। জয়ন্ত তাঁর দিকে ফেরে। জয়ন্ত । আপনার-?
অর্দ্ধেন্দু
॥ আমি এসেছিলাম আপনাদের কাগজের চাঁদা দিতে-আমার ছেলেকে গ্রাহক করতে চাই। এই যে এই কাগজে আপনি পার্টিকুলার্স পাবেন, আর এই হল টাকা-
অর্দ্ধেন্দু পকেট থেকে কাগজ আর টাকা বার করে জয়ন্তকে দেন। জয়ন্ত সেগুলো নেয়।
জয়ন্ত
।। থ্যাঙ্কস-দাঁড়ান, আমি রসিদ দিয়ে দিচ্ছি। মুকুল! পিছন দিকের ঘর থেকে একজন তরুণ বেরিয়ে আসে-দপ্তরের কর্মচারী মুকুল।
জয়ন্ত
দেয়।
॥ এঁকে একটা রসিদ করে দাও তো। এক বছরের চাঁদা। এই যে পার্টিকুলার্স।
জয়ন্তর হাত থেকে কাগজটা নিয়ে মুকুল রসিদ লিখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। টাকাটা জয়ন্ত দেরাজ খুলে ভিতরে রেখে
অর্দ্ধেন্দু
জয়ন্ত
অর্দ্ধেন্দু
জয়ন্ত
অর্দ্ধেন্দু
॥ আপনাদের পত্রিকা ডাকে পাঠাতে হবে না-আমি প্রতি মাসে এসে হাতে করে
নিয়ে যাব। এটা আমার কাজের জায়গার খুব কাছে পড়ে।
॥ আপনি বসুন না।
॥ ঠিক আছে। আসলে আমার ছেলে অনেকদিন থেকে ধরেছিল ওকে গ্রাহক করে
দেবার জন্য। ॥ বয়স কত?
। এই দশে পড়ল।
মুকুল রসিদ লিখে দেয়। সেটা নিয়ে অর্দ্ধেন্দুবাবু বেরিয়ে যান। মুকুল পিছনের ঘরে চলে যাবার পর জয়ন্ত তিনকড়ির
দিকে ঘোরে।
জয়ন্ত
তিনকড়ি
জয়ন্ত
তিনকড়ি
জয়ন্ত
তিনকড়ি
জয়ন্ত
তিনকড়ি
। আপনি কি লেখা দিতে এসেছেন?
॥ আজ্ঞে না।
। তবে?
॥ লেখা আমার আগেই দেওয়া আছে। ॥ সেটা মনোনীত হয়েছে?
॥ চিঠি এখনও পাইনি-তবে আপনার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে হয়েছে।
। তার মানে?
। আমার আসল নাম তিনকড়ি ধাড়া, কিন্তু লেখায় নাম ছিল নবারুণ চট্টোপাধ্যায়।
জয়ন্তর চক্ষু চড়কগাছ
॥ বলেন কী?
জয়ন্ত তিনকড়ি
1। আজ্ঞে হ্যাঁ।
জয়ন্ত
তিনকড়ি
জয়ন্ত
তিনকড়ি
।। ওই লাদাখের উপন্যাস আপনার লেখা?
।। আজ্ঞে হ্যাঁ-অনেক মেহনতের ফসল আমার। অনেক পড়াশুনা করতে হয়েছে
ওটা লেখার জন্য। ॥ কী আশ্চর্য-তা আপনি নবারুণ চট্টোপাধ্যায় না বলে তিনকড়ি ধাড়া বলতে
গেলেন কেন? ওই নাম বললে কি কোনও ফল হয়?
॥ তা অবশ্য ঠিক। ও নামে লেখা পাঠালে আপনি হয়তো সে লেখা পড়তেনই না। কিন্তু আপনার যখন লেখাটা ভাল লেগেছে, তখন আমি আমার নিজের নামই ব্যবহার করতে চাই। কারণ লেখা যদি ভাল লাগে তা হলে নামের কথা কেউ ভাববে না। আর ভেবে দেখলাম নামটা আমার পিতৃদত্ত নাম, আর পদবি আমার বংশের পদবি। নবারুণ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়োজন হয়েছিল শুধু আপনাকে লেখাটা পড়াবার জন্য। এখন সেটার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। জয়ন্ত তিনকড়ি ।। দেখুন তো-আমি না জেনে আপনাকে এতক্ষণ বসিয়ে রাখলাম। । তাতে কী হয়েছে। সে না হয় এবার যখন আপনি আমার কাছে লেখার জন্য তাগাদা করতে যাবেন তখন আমি আপনাকে বসিয়ে রাখব। তা হলেই শোধবোধ হয়ে যাবে। দুজনে হাসিতে ফেটে পড়ে।