shabd-logo

দুই

27 October 2023

0 Viewed 0

বড়ভাই গোলকনাথ মারা গেলে, তাঁর বিধবা স্ত্রী স্বর্ণমঞ্জরী নির্বংশ পিতৃকুলের যৎসামা বিষয় আশয় বিক্রয় করিয়া হাতে কিছু নগদ পুঁজি করিয়া কনিষ্ঠ দেবর অনাথনাথকেই আশ্রয় করিয়াছিলেন। তাহারই বিষের অসহ্য জ্বালায় হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হইয়া মেজভাই প্রিয়নাথ গত বৎসর ঠিক এমনি দিনে ছোটভাই অনাথের সঙ্গে বিবাদ করিয়া উঠানের মাঝখানে একটা প্রাচীর তুলিয়া দিয়া পৃথগন্ন হইয়াছিলেন এবং মাঝখানে একটা কবাট রাখার পর্যন্ত প্রয়োজন অনুভব করেন নাই, তখন রঙ্গ দেখিয়া বিধাতাপুষ নিশ্চয়ই অলক্ষ্যে বসিয়া হাসিতেছিলেন। কারণ, একটা বৎসরও কাটিল না প্রাচীরের সমস্ত উদ্দেশ্য নিষ্ফল করিয়া দিয়া, সেদিন প্রিয়নাথ সাতদিনের জ্বরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় প্রাণত্যাগ করিলেন।

মৃত্যুর আগের দিনটায় মরণ সম্বন্ধে যখন আর কোথাও বিন্দুমাত্র অনিশ্চয়তা ছিল না, এবং তাই দেখিতে সমস্ত গ্রামের লোক পিলপিল করিয়া বাড়ি ঢুকিয়া, ঘরের দরজার সম্মুখে ভিড়ন করিয়া দাঁড়াইয়া অস্ফুট কলকণ্ঠে হা-হুতাশ করিতেছিল, তখনও প্রিয়নাথের একেবারে সংজ্ঞা লোপ হয় নাই। অতুল নামে ছিল না। কলিকাতার মেসে ওই দুঃসংবাদ পাইয়া আজ ছুটিয়া আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল। ভিড় ঠেলিয়া যখন সে রোগীর ঘরে ঢুকিবার চেষ্টা করিতেছিল, কোথা হইদে জ্ঞানদা পাপলের মত আছাড় খাইয়া পড়িয়া তাহার দুই পায়ের উপর মাথা কুটিতে লাগিল। যাহারা তামাশা দেখিতে আসিয়াছিল, তাহারা এই আর একটা অভাবনীয় ফাউ পাইয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়া মনে মনে বিতর্ক করিতে লাগিল, কিন্তু অতুল এত লোকের সমক্ষে দুঃখে লজ্জায় হতবুদ্ধি হইয়া গেল।

ক্ষণেক পরে যখন সে কিঞ্চিত প্রকৃতিস্থ হইয়া তাহাকে ধরিয়া তুলিতে গেল, তখন জ্ঞানদা জোর করিয়া পায়ের উপর মুখ চাপিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিল, বাবার মরণকালে তুমি নিজের মুখে তাঁকে একটা সান্ত্বনা দিয়ে যাও আমার অদৃষ্টে পরে যাই থাক এ সময় আমার মতন আমার ভাবনাটাকেও যেন তিনি এইখানেই ফেলে রেখে যেতে পারেন আর তোমার কাছে আমি কখন কিছু চাইব না। বলিয়া তেমনি করিয়াই মাথা খুঁড়িয়া কাঁদিতে লালি । তাহার দুশ্চিন্তাগ্রস্থ দুর্ভাপা পিতা অত্যন্ত অসময়ে অকালে মরিতেছে- আজ আর তাহার কান্তজ্ঞান ছিল না এত লোকের সম্মুখে কি করিতেছে, কি বলিতেছে, কিছুই ভাবিয়া দেখিল না, - ক্রমাগত একভাবে মাথা খুঁড়িতে লাগিল। কিন্তু অতুল সংখনী লোক। জ্ঞানদার এই ব্যাবহারে অন্তরে সে যত ক্লেশই অনুভব করুক, বাহিরে এতগুলি কৌতূহলী চক্ষের উপর কঠিন হইয়া উঠিল। জোর করিয়া পা ছাড়াইয়া লইয়া মৃদু তিরষ্কারের স্বরে কহিল, ছি, শান্ত হও, কান্নাকাটি করো না - আমার যা বলবার আমি তা বলব বৈ কি। বলিয়া মুমূর্ষুর শয্যার একাংশে গিয়া উপবেশন করিল। দুর্গামণী স্বামীর শিয়রে বসিয়াছিলেন, অতুলের মুখের পানে চাহিয়া নিঃশব্দে কাঁদিতে লাগিলেন।

প্রতিবেশী নীলকণ্ঠ চাটুয়ো দ্বারের উপর দাঁড়াইয়া ছিলেন, অতুলের বিলম্ব দেখিয়া কহিলেন, প্রিয়নাথের এখনো একটু জ্ঞান আছে বাবা, যা বলবে, এইবেলা বেশ চেঁচিয়ে বল তা হলেই বুঝতে পারবে। বলাবাহুল্য, বৃদ্ধের এই প্রস্তাব আরও দুই একজন তৎক্ষণাৎ অনুমোদন করিল।

জনতা দেখিয়া অতুল প্রথমেই ক্রুদ্ধ হইয়াছিল, তাহার উপর ইহাদের এই নিতান্ত অশোভন কৌতূহলে সে মনে মনে আগুন হইয়া কহিল, আপনারা নিরর্থক ভিড় করে থেকে ত কোন উপকার করতে পারবেন না, একটুখানি বাহিরে গিয়ে বসলেই আমরা যা বলবার বলতে পারি। নীলকণ্ঠ চটিয়া উঠিয়া বলিলেন, নিরর্থক কি হে? প্রতিবেশীর বিপদে প্রতিবেশীই এসে থাকে। তুমি কোন সার্থক উপকার করতে বিছানায় গিয়ে বসেচ বাপু : অতুল উঠিয়া দাঁড়াইয়া দৃঢ় স্বরে কহিল, আমি উপকার করি না করি, আপনাদের এমন করে বাতাস আটকে অপকার করতে আমি দেব না। সবাই বাইরে যান।

তাহার ভাব দেখিয়া নীলকণ্ঠ দু'পা পিছাইয়া দাড়াইয়া কহিলেন, সেদিনকার ছোকরা - তোমার ত বড় আম্পর্ণ দেখি হে। কে একজন তাহার আড়ালে দাঁড়াইয়া কহিল, এল.এ. বি.এ. পাশ করেছে কিনা। একটা দশ-বার বছরের ছোঁড়া উকি মারিতেছিল। অতুল কাহারও কথার কোন জবাব না দিয়া তাহাকে ঠেলিয়া দিল। সে গিয়া আর একজনের গায়ে পড়িল । যাহার গায়ে পড়িল, সে অস্ফুটস্বরে গাজালার ব্যাটা প্রভৃতি বলিতে বলিতে বাহিরে চলিয়া গেল প্রভৃতি ভদ্রলোক অতুলের কথাটা শুনিবার বিশেষ কোন আশা না দেখিয়া মনে মনে শাসাইয়া প্রস্থান করিলেন।

যখন বাহিরের লোক আর কেহ রহিল না, তখন অতুল মুমূর্ষুর মুখের উপর ঝুঁকিয়া পড়িয়া ডাকিল, মেসোমশাই। প্রিয়নাথ রক্তবর্ণ চক্ষু মেলিয়া মৃতের মত চাহিয়া রহিলেন। অতুল পুনরায় উচ্চকণ্ঠে কহিল, আমাকে চিনতে পাচ্ছেন কি? প্রিয়নাথ চক্ষু মুদিয়া অঙ্কুটে বলিলেন,

এখন কেমন আছেন ?

প্রিয়নাথ মাথা নাড়িয়া তেমনি অস্পষ্টস্বরে বলিলেন, ভাল না ।

অতুলের দুই চক্ষু জলে ভরিয়া গেল। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলাইয়া লইয়া অশ্রদ্ধ কন্ঠ পরিষ্কার করিয়া কহিল, মেসোমশাই, একটা কথা আপনাকে জানাচ্ছি। আপনি নিশ্চিন্ত হোন- আজ থেকে জ্ঞানদার ভার আমি নিলুম। প্রিয়নাথ কথাটা বুঝিতে পারিলেন না। এদিকে- ওদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন, কৈ, জ্ঞানদা ?

দুর্গামণী স্বামীর মুখের উপর ঝুঁকিয়া পড়িয়া অশ্রুবিকৃত রোদনের কণ্ঠে বলিলেন, একবার দেখবে জ্ঞানদাকে ? প্রিয়নাথ প্রথমটা জবাব দিলেন না শেষে বলিলেন, না।

দুর্গামণী কাঁদিয়া ফেলিয়া বলিলেন, অতুল কি বলচে, শুনেছ ? সে তোমার জ্ঞানদার ভার নিতে এসেচে। আর তুমি ভেবো না হতভাগীকে অনেক গালমন্দ করেছ, আজ একবার ডেকে আশীর্বাদ করে যাও।

প্রিয়নাথ চুপ করিয়া চাহিয়া রহিলেন। দুর্গামণী আবার সেই কথা আবৃত্তি করার পর, তাহার চোখ দিয়া দু'ফোঁটা জল গড়াইয়া পড়িল। অক্ষম হাতখানি অনেক কষ্টে তুলিয়া, অতুলের কপালে একবার স্পর্শ করাইয়া পাশ ফিরিয়া শুইলেন। তাঁহার মুখ দিয়া কোন কথাই বাহির হইল না বটে, কিন্তু এই আপরকালে তাঁহার হৃদয়ের একটা অতি গুরুভার নিঃসংশয়ে ভুলিয়া ফেলিতে পারিয়াছে অনুভব করিয়া অতুল অকস্মাৎ বালকের মত উচ্ছ্বসিত হইয়া কাঁদিয়া ফেলিন। সাক্ষী রহিলেন শুধু দুর্গামণী আর ভগবান।

পরদিন সায়াহ্নকালে, শতকরা আশীজন ভদ্র বাঙ্গালী যাহা করে, প্রিয়নাথও তাহাই করিলেন। অর্থাৎ, অফিসের ত্রিশ ঢাকা চাকরি মায়া কাটাইয়া, ছাব্বিশ বৎসরের বিধবা ও রে বৎসরের অনুঢ়া কন্যার বোঝা তদপেক্ষা কোন এক দূর্ভাগ আত্মীয়ের মাথায় তুলিয়া দিয়া, ছত্রিশ বৎসর বয়সে প্রায় বিনা চিকিৎসায় ছিয়াশী বৎসরের সমতুল্য একটা জীর্ণ কঙ্কালসার দেহ তুলসীবেদীমূলে পরিত্যাগ করিয়া গঙ্গানারায়ণ ব্রাহ্ম নাম শুনিতে শুনিতে বোধ করি বা হিন্দু বিষ্ণুলোকেই গেলেন।

10
Articles
অরক্ষণীয়া
0.0
"আরক্ষনিয়া" সত্যবতী নামে এক যুবতীর গল্প বলে, যিনি একটি রক্ষণশীল এবং গোঁড়া বাঙালি পরিবারের অন্তর্গত। সত্যবতীর জীবন তার সমাজে নারীদের প্রতি স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ ও প্রত্যাশার দ্বারা গঠিত। তিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি বিকাশের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি একজন কঠোর এবং নিপীড়ক ব্যক্তিত্ব। এই বিবাহ তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে প্রমাণিত হয়। সত্যবতীর স্বামী বিকাশকে এমন একটি চরিত্র হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে যিনি সমাজের নিপীড়ক এবং পুরুষতান্ত্রিক দিকগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি সত্যবতীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং তার জীবন তার বৈবাহিক বাড়ির সীমানার মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য একটি অবিরাম সংগ্রামে পরিণত হয়। অসুবিধা সত্ত্বেও, সত্যবতী স্থিতিস্থাপকতা এবং তার জীবন পরিবর্তন করার দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে।উপন্যাসটি আত্ম-আবিষ্কারের দিকে সত্যবতীর যাত্রা এবং তার স্বাধীনতার সংগ্রামকে অন্বেষণ করে। তিনি সমাজ কর্তৃক তার উপর আরোপিত নিয়ম ও মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ঐতিহ্যের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে চান। শরৎচন্দ্র সত্যবতীকে নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করেছেন।গল্পটি উন্মোচিত হওয়ার সাথে সাথে, সত্যবতীর ক্রিয়াকলাপ বিদ্যমান সামাজিক নিয়মগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে, যা একটি চিন্তা-উদ্দীপক আখ্যানের দিকে পরিচালিত করে যা লিঙ্গ, শ্রেণী এবং সামাজিক প্রত্যাশার সমস্যাগুলিকে সম্বোধন করে। উপন্যাসটি শেষ পর্যন্ত নারীর মুক্তির বৃহত্তর বিষয়বস্তু এবং মর্যাদা ও আত্মসম্মানে জীবনযাপন করার জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পড়ে।"অরক্ষনীয়া" সাহিত্যের একটি শক্তিশালী কাজ যা মানবিক সম্পর্কের জটিলতা এবং একটি ঐতিহ্যবাহী সমাজে নারীদের মুখোমুখি হওয়া সংগ্রামকে চিত্রিত করার জন্য শরৎচন্দ্রের প্রতিভা প্রদর্শন করে। এটি বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান হিসাবে রয়ে গেছে এবং লিঙ্গ সমতা এবং সামাজিক সংস্কারের আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হতে চলেছে।
1

এক

27 October 2023
0
0
0

মেজমাসীমা, মা মহাপ্রসাদ পাঠিয়ে দিলেন ধরো। - কে রে, অতুল ? আয় বাবা, আয়, বলিয়া দুর্গামণি রান্নাঘর হইতে বাহির হইলেন। অতুল প্রণাম করিয়া পায়ের ধুলা গ্রহণ করিল । নীরোগ হও বাবা, দীর্ঘজীবী হও। ওরে ও জ

2

দুই

27 October 2023
0
0
0

বড়ভাই গোলকনাথ মারা গেলে, তাঁর বিধবা স্ত্রী স্বর্ণমঞ্জরী নির্বংশ পিতৃকুলের যৎসামা বিষয় আশয় বিক্রয় করিয়া হাতে কিছু নগদ পুঁজি করিয়া কনিষ্ঠ দেবর অনাথনাথকেই আশ্রয় করিয়াছিলেন। তাহারই বিষের অসহ্য জ্ব

3

তিন

27 October 2023
0
0
0

ছোটভাই অনাথকে বাধ্য হইয়া প্রাঙ্গণের প্রাচীরে একটা দ্বারা ফুটাইতে হইল। অগ্রজের শ্রাদ্ধ-শান্তি হইয়া গেলে পনর-ষোল দিন পরে একদিন তিনি অফিসে যাইবার মুখে চৌকাঠের উপর দাঁড়াইয়া পান চিবাইতে চিবাইতে বলিলেন,

4

চার

27 October 2023
0
0
0

এগার বৎসর পরে দুর্গামণি হরিপালের বাপের ভিটায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তখন শরতের সন্ধ্যা এমনই একটা অস্বাস্থ্যকর ঝাপসা ধুয়া লইয়া সমস্ত প্রামখানার উপর হুমড়ি খাইয়া বসিয়াছিল যে, তাহার ভিতরে প্রবেশ করিবা

5

পাঁচ

27 October 2023
1
0
0

প্রথম অগ্রহায়ণের শীতের বাতাস বহিতেছিল। দুর্গার এক ছেলেবেলার সাথী বাপের বাড়ি আসিয়াছিল। আজ দুপুরবেলা মেয়েকে একটু ভাল দেখিয়া দুর্গা তাহার সহিত দেখা করিতে বাহির হইয়াছিল। পথে ডাক-পিয়নের সাক্ষাৎ পাইয

6

ছয়

28 October 2023
1
0
0

সংবাদ দিবার প্রয়োজন ছিল না বলিয়াই দুর্গা চিঠি না লিখিয়াই আসিয়াছিলেন। জ্ঞানদার চেহারা দেখিয়া জ্যাঠাইমা হাসিয়াই খুনগুলো ওগেনি, গালদুটো তোর চড়িয়ে ভেঙ্গে দিলে কে লো মা কি ঘেন্না। মাথায় টাক পড়ল ক

7

সাত

28 October 2023
0
0
0

আজকাল ধরিয়া না তুলিলে দুর্গা প্রায় উঠিতেই পারিতেন না। মেয়ে ছাড়া তাঁহার কোন উপায়ই ছিল না। তাই সহস্র কর্মের মধ্যেও জ্ঞানদা যখন-তখন ঘরে ঢুকিয়া মায়ের কাছে বসিত। আজিকার সকালেও একটুখানি ফাঁক পাইয়া,

8

আট

28 October 2023
0
0
0

মাধুরী শিশুকাল হইতেই কলিকাতায় মামার বাড়ি থাকে। মহাকালী পাঠশালায় পড়ে । ইংরাজী, বাংলা, সংস্কৃত শিখিয়াছে। গাহিতে বাজাইতে, কার্পেট বুনিতেও জানে, আবার শিব গড়িতে, স্তোত্র আওড়াইতেও পারে। দেখিতেও অতিশয়

9

নয়

28 October 2023
0
0
0

চৈত্রের শেষ কয়টা দিন বলিয়া ছোটবৌয়ের বাপের বাড়ি যাওয়া হয় নাই। মাসটা শেষ হইতেই তাহার ছোটভাই তাহাকে এবং মাধুরীকে লইবার জন্য আসিয়া উপস্থিত হইল। আজ ভাল দিন খাওয়াদাওয়ার পরেই যাত্রার সময়। অতুল বাড

10

দশ

28 October 2023
0
0
0

দুর্গার এমন অবস্থা যে, কখন কি ঘটে বলা যায় না। তাহার উপর যখন তিনি পাড়ার সর্বশাস্ত্রদশী প্রবীণাদের মুখে শুনিলেন, তাহার প্রাপ্তবয়স্কা অলা কন্যা শুধু যে পিতৃপুরুষদিগেরই দিন দিন অধোপতি করিতেছে তাহা নাহে

---