ট্যাঁশ গরু গরু নয়, আসলেতে পাখি সে।
যার খুশি দেথে এস হারুদের আফিসে। চোখ দুটি চুলু ভুলু, মুখখানা মস্ত, ফিফাট্ কালোচুলে টেরিকাটা চোস্ত। তিন-বাঁকা শিং তার, ল্যাজখানি প্যাঁচান - একটুকু ছোঁও যদি, বাপ্রে কি চ্যাঁচান! লঙ্ঘটে হাড়গোড় খঙ্খট্ ন'ড়ে যায়, ধমকালে ল্যাব্যাগ চমকিয়ে প'ড়ে যায়। বণিতে রাগ গুণ সাধ্য কি কবিতায়, চেহারার কি বাহার-ঐ দেখ ছবি তার। ট্যাঁশ গরু খাবি খায় ঠ্যাস দিয়ে দেয়ালে, মাঝে মাঝে কেঁদে ফেলে না জানি কি খেয়ালে।
মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠে, মাঝে মাঝে রেগে যায়, মাঝে মাঝে কুপোকাৎ দাঁতে দাঁত লেগে যায়। খায় না সে দানাগানি-ঘাস পাতা বিচালি, খায় না সে ছোলা ছাতু ময়দা কি পিঠালি, রুচি নাই আমিষেতে, রুচি নাই পায়সে, সাবানের সূপ আর মোমবাতি খায় সে। আর কিছু খেলে তার কাশি ওঠে খক্ থক্ সারা গায়ে ঘিনঘিন ঠ্যাং কাঁগে ঠক্ ঠক্। একদিন খেয়েছিল ন্যাড়ার ফালি সে- তিন মাস আধমরা শুয়েছিল বালিশে। কারো যদি শখ্ থাকে ট্যাঁশ গরু কিনতে, সস্তায় দিতে পারি, দেখ ভেবে চিন্তে।