(যদি) কুমড়োপটাশ নাচে-
খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে। চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে। চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমূলার গাছে।
(যদি) কুমড়োপটাশ কাঁদে-
খবরদার! খবরদার! বসবে না কেউ ছাদে। উপুড় হয়ে মাচায় শুয়ে লেপ কম্বল কাঁধে, বেহাগ সুরে গাইবে খালি 'রাধে কৃষ্ণ রাধে!'
(যদি) কুমড়োপটাশ হাসে-
থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে। ঝাপ্প্সা গলায় ফাসি কবে নিশ্বাসে ফিস্ফাসে: তিনটি বেলা উপোস করে থাকবে শুয়ে ঘাসে।
(যদি) কুমড়োপটাশ ছোটে-
সবাই যেন তড়বড়িয়ে জানলা বেয়ে ওঠে। হ'কোর জলে আলতা গুলে লাগার গালে ঠোঁটে। ভুলেও যেন আকাশ পানে তাকায় না কেউ মোটে।
(যদি) কুমড়োপটাশ ডাকে-
সবাই যেন শ্যামলা এ'টে গামলা চড়ে থাকে। ছেঁচকি শাকের ঘন্ট বেটে মাথায় মলম মাখে। শত্রু ইটের তপ্ত ঝামা ঘষতে থাকে নাকে।
তুচ্ছ ভেবে এ-সব কথা করছে যারা হেলা, কুমড়োপটাশ জানতে পেলে বুঝবে তখন ঠেলা। দেখবে তখন কোন কথাটি কেমন করে ফলে, আমায় তখন দোম দিও না, আগেই রাখি বলে।