আরে আরে, ওকি কর প্যালারাম বিশ্বাস? ফোঁস ফোঁস্ অত জোরে ফেলোনাকো নিশ্বাস। জানো নাকি সে-বছর ও-পাড়ার ভূতোনাথ, নিশ্বাস নিতে গিয়ে হয়েছিল কুপোকাত? হাঁফ ছাড় হ্যাঁসফ্যাঁস ও-রকম হাঁ করে- মুখে যদি ঢুকে বসে পোকা মাছি মাকড়ে? বিপিনের খুড়ো হয় বুড়ো সেই হল রায়, মাছি খেয়ে পাঁচমাস ভুগেছিল কলেরায়। তাই বলি- সাবধান। করোনাকো ধূপৃথ্বাপ্ টিপি টিপি পায় পায় চলে যাও চুপচাপ্। চেয়োনাকো আগে পিছে, যেয়োনাকো ডাইনে সাবধানে বাঁচে লোকে-এই লেখে আইনে। পড়েছ তো কথামালা? কে যেন সে কি করে পথে যেতে পড়ে গেল পাতকোর ভিতরে? ভাল কথা-আর যেন সকালে কি দুপুরে, নেয়োনাকো কোনোদিন ঘোষেদের পুকুরে। এ-রকম মোটা দেহে কি যে হবে কোন দিন, কথাটাকে ভেবে দেখ কি-রকম সঙ্গিন।
চটো কেন? হয় নয় কেবা জানে পষ্ট, যদি কিছু হয়ে পড়ে পাবে শেষে কষ্ট। মিছিমিছি ঘ্যান্ক্যান কেন কর তত্ত্ব। শিখেছ জ্যাঠামো খালি, ইঁচড়েতে পক। মানবে না কোনো কথা চলা ফেরা আহারে, একদিন টের পাবে ঠেলা কয় কাহারে। রমেশের মেজমামা সেও ছিল সেয়ানা, যত বলি ভালো কথা কানে কিছু নেয় না। শেষকালে একদিন চান্নির বাজারে পড়ে গেল গাড়ি চাপা রাস্তার মাঝারে।