অযোধ্যার রাম মন্দির, ইট এবং মর্টারে আকৃতি নেওয়া একটি শতাব্দী-দীর্ঘ স্বপ্ন, ভারতে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় ও মন কেড়ে নিয়েছে। মন্দির নির্মাণের জন্য দায়ী শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট প্রাথমিকভাবে খরচ অনুমান করেছে রুপি। 1,800 কোটি (প্রায় $220 মিলিয়ন)।
এই পরিসংখ্যানে নির্মাণ খরচ, উপকরণ, যন্ত্রপাতি, শ্রম এবং অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিছু রিপোর্ট প্রস্তাব করে যে চূড়ান্ত খরচ সম্ভাব্য টাকায় পৌঁছতে পারে৷ সম্ভাব্য সংযোজন এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে 3,200 কোটি (প্রায় $400 মিলিয়ন)।
মন্দির নির্মাণে বিশাল গ্রানাইট পাথর, জটিল খোদাই, এবং মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণের খরচ অন্তর্ভুক্ত। মন্দিরের আশেপাশে অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ এবং রাস্তা, পার্কিং সুবিধা এবং বাগানের মতো অবকাঠামো উন্নয়নের খরচ।
সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম এবং প্রশিক্ষিত কর্মীদের সহ শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেতন, পরিবহন, যোগাযোগ, এবং ট্রাস্ট দ্বারা খরচ অন্যান্য অপারেশনাল খরচ।
নির্মাণটি ভারত জুড়ে এবং বিদেশের ভক্তদের স্বেচ্ছায় অবদানের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। কিছু নেতৃস্থানীয় কোম্পানি নির্মাণের নির্দিষ্ট দিকগুলির জন্য তহবিল বা উপকরণ অবদান রাখতে পারে।
সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ আর্থিক সহায়তার সম্ভাবনা কম হলেও অবকাঠামো উন্নয়ন বা কর সুবিধার মাধ্যমে পরোক্ষ সহায়তা সম্ভব। ট্রাস্ট নির্মাণের অগ্রগতি এবং কীভাবে তহবিল ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে পর্যায়ক্রমিক আপডেট প্রকাশ করে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসাব নিরীক্ষা করে। আর্থিক দিকটি তাৎপর্যপূর্ণ হলেও রামমন্দিরের প্রকৃত মূল্য তার অপরিসীম সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাত্পর্যের মধ্যে নিহিত। এটি ভারত এবং তার বাইরের লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের জন্য আশা, ঐক্য এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক।