ভালোবাসা এই ছোট্ট শব্দে এমন এক জাদু আছে যা প্রতিটি পরিস্থিতি তে প্রভাবিত করে চলেছে,শুধু পরিস্থিতি নয় প্রত্যেক ব্যক্তি কে। বয়স ,ধর্ম,সংস্কৃতি সে সবের ঊর্ধ্বে এই শব্দ।
আমি এখানে কোনো বিশেষ সম্পর্ক কে ইঙ্গিত করছি না।ভালোবাসা তো সব সম্পর্কের ভিত্তি।
মায়ের কোলে যে শিশু খেলা করে তাদের মধ্যে ভালোবাসা থাকে যাকে আমরা মমতা বলে থাকি।
আবার পিতার সাথে তার পুত্র কন্যার এক স্নেহের সম্পর্ক তাও ভালোবাসা নয় কি!
যুগ বদলাচ্ছে কিন্তু মা বাবার সাথে সন্তানদের যে সম্পর্ক তার আদল বদলালেও মমতা বা স্নেহের পরিমাণে কি ঘাটতি আছে?
তাই বলতে পারি ভালোবাসা শব্দের ওজন আজও কমে নি,যুগ বদলে গেলেও কমবে না ওজন।
আমরা (ব্যতিক্রম আমিও নই) সবসময় ভালোবাসা কে শুনতে চাই নিজের প্রিয়জনের মুখ থেকে কিন্তু তা কি সবসময় পাই?
আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমার কিশোর বয়স্ক ছেলে আমাকে কোনোদিনই বলেনি যে সে তার মা(আমি) কে ভালোবাসে,কিন্তু আমার অল্প কষ্টে ওর চোখেমুখে যে কষ্ট দেখেছি তাতেই বুঝি আমি সে আমায় কতো ভালোবাসে।
এতে আমি এইটুকু বুঝতে পেরে গেছি যে প্রকৃত ভালোবাসবে সে কথায় নয় ,কর্মে বুঝিয়ে দেবে।
এই লেখা লিখতে আজ খুব ভালো লাগছে কারণ আমি নিজেও ভালোবাসা শব্দ কে গুরুত্ব বেশি দিচ্ছিলাম ওই শব্দের ভেতরের মানে টা না বুঝে।
যে প্রকৃত ভালোবাসবে সে দূরে থেকেও তোমার পাশে থাকবে নিস্তব্ধ ভাবে।এটাই প্রকৃত ভালোবাসা সে যে সম্পর্কে তোমার সঙ্গে থাকুক বাবা মা ভাই দাদা বোন বা বন্ধু।