ভারত সরকার 2047 সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে 'ভিশন ইন্ডিয়া@2047' নামে পরিচিত একটি বিস্তৃত জাতীয় দৃষ্টি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। পরিকল্পনাটি ভারতকে মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়া রোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং ফোকাস করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে।
Vision India@2047: মূল উদ্দেশ্য এবং সময়রেখা উদ্দেশ্য: পরিকল্পনার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল 2047 সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে ভারতের বিকাশ নিশ্চিত করা এবং মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়ানো, যা উন্নয়নের একই পর্যায়ে বিভিন্ন দেশকে প্রভাবিত করেছে। নেতৃত্ব: নীতি আয়োগ, একটি সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, প্রায় দুই বছর ধরে এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এটি অক্টোবরে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবার কাছে পেশ করা হয়েছিল। পরামর্শ: নভেম্বরে, টিম কুক, সুন্দর পিচাই, গৌতম আদানি, মুকেশ আম্বানি, কে এম এর মতো বিশিষ্ট কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব সহ চিন্তাশীল নেতাদের সাথে পরামর্শ করা হবে। বিড়লা, এন. চন্দ্রশেখরন এবং ইন্দ্রা নুয়ী, তাদের অন্তর্দৃষ্টি এবং দক্ষতা সংগ্রহ করতে। খসড়া পরিকল্পনা: পরিকল্পনার খসড়া সংস্করণ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যও তাদের নিজস্ব উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: পরিকল্পনাটি 2047 সালের মধ্যে ভারতকে $30 ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পরিণত করার কল্পনা করেছে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক আকার থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ভারতকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির একটি হিসাবে স্থান দেওয়া। মাথাপিছু আয়: তার নাগরিকদের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে, পরিকল্পনাটি $18,000 থেকে $20,000 পর্যন্ত মাথাপিছু আয়কে লক্ষ্য করে। এটি বর্তমান আয়ের মাত্রা থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে। মধ্য-আয়ের ফাঁদকে সম্বোধন করা উদ্বেগ: পরিকল্পনাটি মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি স্বীকার করে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট আয়ের স্তরে পৌঁছানোর পরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এই সমস্যাটি আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলির দ্বারা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যারা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে। চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠা: ভারত দারিদ্র্য, অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা, বিদ্যুৎ এবং জল) এর মতো দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় অগ্রগতি করেছে এবং এই সমস্যাগুলি আগামী বছরগুলিতে সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পরবর্তী স্তর: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা এড়াতে পরিকল্পনার ফোকাস ভারতকে উন্নয়নের পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়া। আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং বৈষম্য আঞ্চলিক বিভাজন: পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য মোকাবেলা করা। যদিও ভারতের কিছু অংশ দ্রুত বৃদ্ধির সাক্ষী হচ্ছে, অন্যরা, বিশেষ করে পূর্ব এবং উত্তরে, পিছিয়ে আছে। ভারসাম্যপূর্ণ বৃদ্ধি: ভারতের সমস্ত অঞ্চল জুড়ে সুষম এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি অর্জন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। ব্যবসায় বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বৈশ্বিক উপস্থিতি: পরিকল্পনাটি বৈশ্বিক মঞ্চে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় সংস্থাগুলির আধিপত্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক, ঠিকাদার, আইনি, পরামর্শদাতা বা অ্যাকাউন্টেন্সি সংস্থাগুলির কোনওটিই ভারতের নয়। ক্ষেত্রগুলিকে উন্নীত করা: এই পরিকল্পনাটি বিশ্বব্যাপী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সেক্টর এবং সংস্থাগুলিকে উন্নীত করার উপায়গুলি অন্বেষণ করে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক ল্যান্ডস্কেপে ভারতের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।