‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র দিন কী কী গয়না পরেছিলেন রামলালা, তারই তালিকা প্রকাশ করল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। বিগ্রহের গায়ে কী কী গয়না পরানো হবে, তা নিয়ে চলেছে গবেষণা। সোমবার দুপুরে অযোধ্যার মন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে রামলালার। বিশেষ সময়ে বিগ্রহের চোখ থেকে সরে গিয়েছে উন্মোচন। তাকে কাজলদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন দেশবিদেশের বিশিষ্টজনেরা। সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন দেশের মানুষ। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র দিন কী কী গয়না পরেছিলেন রামলালা, তারই তালিকা প্রকাশ করল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
কৃষ্ণশিলায় তৈরি হয়েছে রামলালার বিগ্রহ। উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। সেই বিগ্রহের গায়ে কী কী গয়না পরানো হবে, তা নিয়ে চলেছে গবেষণা। বাল্মিকীর রামায়ণ, অধ্যাত্ম রামায়ণ, রামচরিত মানস, আলভান্দর স্তোত্র পড়ে তার পরেই গয়নার নকশা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গবেষণা করে গয়নার নকশা তৈরি করেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। লখনউয়ের দু’টি দোকান থেকে বানানো হয়েছে সেগুলি। প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন রামলালার পরনে ছিল হলুদ রঙের বেনারসি ধুতি। গায়ে ছিল লাল পট্টবস্ত্র। এই পট্টবস্ত্রে সোনার জরি দিয়ে কারুকাজ করা হয়েছে। শঙ্ঘ, চক্র, পদ্ম, ময়ূর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পট্টবস্ত্রে। তৈরি করেছে দিল্লির একটি সংস্থা।
বিগ্রহের মাথায় রয়েছে মুকুট। সোনার তৈরি মুকুটে বসানো রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না। মুকুটের ঠিক মাঝে রয়েছে সূর্য। উত্তর ভারতীয় শৈলী মেনে তৈরি হয়েছে মুকুটের নকশা। মুকুটের সঙ্গে মানানসই কুণ্ডল (দুল) রয়েছে রামলালার কানে। সোনার তৈরি দুলে বসানো রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না। ময়ূরের নকশা ফোটানো হয়েছে তাতে। বিগ্রহের গলায় রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি কণ্ঠ। ফুলের নকশা রয়েছে তাতে। মাঝে সূর্য। অসংখ্য হিরে, চুনি, পান্না খোদাই করা রয়েছে। নীচে ঝুলছে পান্না।